টাকা পরিশোধ না করে ভারতে চলে যাওয়ার চেষ্টা বন্ধ এবং পাওনা টাকা উদ্ধারের দাবি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সাতক্ষীরায় পাওনাদারের টাকা পরিশোধ না করে গোপনে জমি বিক্রয় করে ভারতে চলে যাওয়ার অপচেষ্টা বন্ধ এবং টাকা উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদরের ঝাউডাঙ্গা গ্রামের মৃত নৃসুন্দর মুখার্জির পুত্র অশোক মুখার্জি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার দাদু (বাবার মামা) এর একমাত্র পুত্র মানিক বহুবছর পূর্বে ভারতের বাসিন্দা হওয়ায় দাদু সুবোল বন্দোপাধ্যায় সাতক্ষীরা সদরের রামনগরে বসবাস করতো। রামনগর মৌজায় একবন্দে পৌনে ১১ বিঘা সম্পত্তি ছিলো দাদুর। বাংলাদেশে দাদুর কেউ না থাকায় তার দেখাশোনা করে আসছিলাম আমি। দাদু আনুমানিক ৫ বছর পূর্বে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দাদুর জমির হতে আমার নামে ১ বিঘা জমি লিখে দেন। এছাড়া বাকী ১০ বিঘা জমি একই এলাকার মৃত. গনেশ চন্দ্র দাশের পুত্র অসীত চন্দ্র দাশ বিক্রয় করেন। সে সময় সাড়ে ৮লক্ষ টাকা অসীত কুমারের কাছে না থাকায় পরে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় অসীত। দাদু অসীতের কথায় বিশ^াস করে তাকে বলেন, তাহলে ওই সাড়ে ৮লক্ষ টাকা অবশ্যই অশোককে দিবি, বলে তার কাছ থেকে মন্দির এবং মাথা ছুইয়ে কিরি (দিব্বি) কাটিয়ে নেন। কিছুদিন পর দাদু মারা যান। এরপর অসীত আমাকে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকী ৭ লক্ষ টাকা না দিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে তালবাহানা করে যাচ্ছে। গত ২০১৯ সালে আমার স্ত্রী অরুনা ওই টাকা চাইতে গেলে তার হাত কুপিয়ে গুরুতর জখম করে অসীত।
৫ বছর ধরে ওই টাকা তো আমাকে দিলোই না উল্টো কৌশলে আমার নামে দেওয়া ১ বিঘা সম্পত্তিও জাল দলিল সৃষ্টি করে দখলের চেস্টা চালাচ্ছে। এনিয়ে আদালতে একটি মামলাও রয়েছে। সম্প্রতি অসীত কুমার দাশ নিজের নামে ভারতের মধ্যগ্রামে সাজেরাটি এলাকায় ৪৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্লাট নিয়েছে। আর বাংলাদেশে তার নামের সকল সম্পত্তি মোট ২ কোটি ৬ লক্ষ টাকায় বিক্রয়ের জন্য শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের জলিল বিশ^াসের পুত্র মনিরুজ্জামান খোকনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ইতোমধ্যে ৭০ লক্ষ টাকা নিয়ে ভারতের ওই ফ্লাটের জন্য জমাও দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের জমি এখনো খোকনকে রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেনি। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী অসীত আমার পাওনা টাকা না দিয়ে কৌশলে সম্পত্তি বিক্রয় করে ভারতে চলে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অসীত যাতে সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দিতে না পারে সে বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার পাওনা টাকা উদ্ধারের দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সাব রেজিষ্ট্রিারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।