নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়
স্পোর্টস ডেস্ক:
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেতো। তবে এমন ম্যাচেই কি না অচেনা হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা! আগের ম্যাচগুলোতে যেভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছে, এ ম্যাচে দেখা যায়নি তার ছিটেফোঁটাও।
অ্যাডিলেডে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ১৩ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তাদের। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি রুপ নিয়েছে অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে।
আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছিল নেদারল্যান্ডস। জবাবে ১৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা হারায় বাংলাদেশের সামনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
রান তাড়া করতে নেমে কখনোই সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতেই ফেরেন কুইন্টন ডি কক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন রাইলি রুশো।
এছাড়া হেনরিখ ক্লাসেন ২১, বাভুমা ২০, এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার দুজনেই ১৭ রান করেন। শেষদিকে কেশভ মহারাজের ১৩ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে একাই ৩ উইকেট নেন ব্রেন্ডন গ্লোভার। এছাড়া ফ্রেড ক্লাসেন ও বাস ডি লিট দুটি করে এবং পল মিকিরিন একটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে নেদারল্যান্ডসকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে ডাচরা। দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ ও স্টিফেন মাইবুর্গ মিলে গড়েন ৫৮ রানের জুটি।
এইডেন মারক্রামের বলে রাইলি রুশোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মাইবুর্গ ৩০ বলে করেন ৩৭ রান। ৭টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি। দলীয় ৯৭ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ হাত খুলছিলেন কেবল। যদিও ৩১ বলে করেছেন ২৯ রান। কিন্তু হাত খোলার মুহূর্তেই কেশভ মাহারাজের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদান নেন তিনি।
এরপর টম কপার ব্যাটে নেমে দুটি ছয় ও দুটি চারে ১৯ বলে করেন ৩৫ রান। এতে নেদারল্যান্ড রানের স্কোরে বেশ গতি পায়। তার উইকেটের পতনের পর নামে কলিন আর্কারম্যান।
তার ৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস স্কোর বোর্ডকে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে নিয়ে যায়। বাস ডে লিডে সাত বল খেলে মাত্র এক রান করে আউট হন। পরে আকার্ম্যান ও স্কট এডওয়ার্ডের ব্যাটে ভর করেই ১৫৮ রানের স্কোরে পৌঁছায় নেদারল্যান্ড।