ডেঙ্গুতে ৫১৭ জনের মৃত্যু : ডেঙ্গু হাসপাতাল দাবি

বেনাপোল প্রতিনিধি:
ডেঙ্গু ও অর্থ সংকট সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশারি মিছিলে লিখিত প্রতিবেদনে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র দায়িত্বে অবহলো-অপরিচ্ছন্ন নগর-শহর-গ্রামে এডিশ মশার বিস্তারের কারণে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়েছে ৭১ হাজার ৩৫২ জন এবং এবং যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫১৭ জন।

৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন থাকবেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষক বন্ধু আবদুল মান্নান আজাদ। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, প্রেসিডিয়াম মেম্বার আলতাফ হোসেন রায়হান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, শেখ রওশন আরা লিজা, মনোয়ারা বেগম, সদস্য রুবেল আকন্দ প্রমুখ। এসময় লিখিত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুরুষের সংখ্যা। ২৬ হাজার ৬৭১ জন পুরুষের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ হাজার ৪৯৬, ২৫ হাজার ৯৫৩ নারীর মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন ২৫ হাজার ৭৮৭ জন এবং ১৮ হাজার ৭২৮ জন শিশু-কিশোরের মধ্যে ১৮ হাজার ৫৫২ জন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ১৭৫, শিশু-কিশোর ১৭৬ এবং নারীদের সংখ্যা ১৬৬।

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির পক্ষ থেকে মন্ত্রী-মেয়র-সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি সুপারিশ জানানো হয়-
১. ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, ডাস্টবিনসহ যেখানে এডিশ মশার লার্ভা সৃষ্টি হয়, সকল স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন।
২. কথা কম বলে জনগণের জন্য নিবেদিত থেকে কাজ করুন, প্রতিদিন মনিটরিং টিম-এর মাধ্যমে শহর-নগর-বন্দর-হাট-বাজার প্রতিটি স্থানে নিয়মিত মশক নিধন স্প্রে বা ফগিং করুন।
৩. ডেঙ্গু আক্রান্তদের সুচিৎিসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বান্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিশেষ সেবা চালু করুন।
৪. ডেঙ্গু রোগিদের জন্য আলাদা ইউনিট নয়; হাসপাতাল স্থাপন করুন।
৫. টাকা অপচয় না করে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও বাংলাদেশ সরকারের সোস্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে সচেতন করুন।
একই সাথে জনসাধারণের প্রতি নতুনধারার নেতৃবৃন্দ আহবান জানান-
১. এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায়। তাই দিনের বেলা ঘুমালে মশারি ব্যবহার করুন।
২. বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, অফিস-আদালতের আনাচ-কানাচে মশার স্প্রে বা ওষুধ ছিটাতে হবে যাতে এসব স্থানে কোনোভাবেই মশা আশ্রয় নিতে না পারে।
৩. ঘরের দরজা, জানালায় ও ভেন্টিলেটরে মশানিরোধক জাল ব্যবহার করুন।
৪. বাচ্চাদের স্কুলের ড্রেসে ফুলহাতা শার্ট, ফুলপ্যান্ট ও মোজা পরালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো সম্ভব।
৫. ঘর-বাড়ি ও এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল, নারকেলের মালা ও এ-জাতীয় পানি ধারণ করতে পারে এমন পাত্র ধ্বংস করে ফেলতে হবে, যেন পানি জমতে না পারে।
৬. গোসলখানায় বালতি, ড্রাম, প্লাস্টিক ও সিমেন্টের ট্যাংক কিংবা মাটির গর্তে পাঁচদিনের বেশি কোনো অবস্থাতেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। পরিস্কার ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গুর জীবানু বেশি জম্মায়।
৭. অব্যবহৃত গাড়ির টায়ারে যাতে পানি জমতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।
৮. ফ্রিজের নিচে, এসির নিচে, ফুলের টবে ও মাটির পাত্রে সামান্য পানি জমে থাকলে তা-ও নিষ্কাশন করুন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)