একে একে ছেড়ে গেছেন চার স্ত্রী, তালাক দিতে চাওয়ায় পঞ্চমকেও হত্যা

নিউজ ডেস্ক:

বিদ্যুৎ হোসেন। তাকে একে একে ছেড়ে গিয়েছেন চার স্ত্রী। কিন্তু তাতে কী। বিয়ে করেন আবার। এক মাস আগে সাবিনা খাতুনকে পঞ্চম স্ত্রী হিসেবে ঘরে এনেছিলেন বিদ্যুৎ। তবে তিনিও হাটেন একই পথে। স্বামী বিদ্যুৎকে তালাক দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সেটা হতে দেয়নি বিদ্যুৎ। ছেড়ে যাওয়ার আগেই সাবিনাকে পৃথিবী ছাড়া করলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাবিনাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের হুদাপাড়া এলাকায়। বুধবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

প্রতিবেশীরা জানায়, চার বছরে পাঁচ বিয়ে করেন বিদ্যুৎ হোসেন। প্রথম স্ত্রী কুষ্টিয়ার আঁখি খাতুন বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় তালাক দিয়ে চলে যান। দ্বিতীয় স্ত্রী গাংনী উপজেলার ইসমত আরা বিয়ের এক মাসের মধ্যে তালাক দেন। তৃতীয় স্ত্রী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার জান্নাতুল নেছা বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় তালাক দিয়ে চলে যান। চতুর্থ স্ত্রী পার্শ্ববর্তী সহড়াবাড়িয়া গ্রামের কবিতা খাতুনও বিয়ের ছয় দিনের মাথায় তাকে ছেড়ে চলে যান। তবে এসব বিয়ের কথা গোপন রেখে পঞ্চমবারের মত বিয়ে করে কুমারীডাঙ্গা গ্রামের সাত্তার আলীর মেয়ে সাবিনা খাতুনকে।

সাবিনা খাতুনের মা নিসারননেছা বলেন, একমাস আগে বিদ্যুতের সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়। এর আগে বিদ্যুৎ চারটি বিয়ে করেছিল। শারীরিক সমস্যার কারণে স্ত্রীরা চলে গেছেন। বিদ্যুৎ প্রতারণা করে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তারপরেও আমার মেয়ে বলেছিলো স্বামীকে চিকিৎসা করাতে হবে। আজকে আমার মেয়েকেই হারিয়ে ফেললাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন,সাবিনা খাতুনকে ঘুমন্ত অবস্থায় ভারী কোনো বস্তু দিয়ে মাথা থেতলিয়ে হত্যা করে পালিয়েছেন বিদ্যুৎ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্তদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)