৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, বিপদ সংকেত উঠলো ৭
নিউজ ডেস্কঃ
ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঝড় ‘সিত্রাং’। এটি এখন বাংলাদেশের উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। তাই মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে রোববার থেকেই দেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকায়। আকাশ মেঘে ঢেকে রয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় এলাকা খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় বইছে দমকা হাওয়া।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে সিত্রাং। উপকূলীয় ১৯টি জেলাতেই থাকতে পারে এর তাণ্ডব।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
আগামী দুই দিনে আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচদিনের প্রথম দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।