আজ বিশ্ব ওজন স্তর রক্ষা দিবস
ফিচার ডেস্ক:
প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। ঐ নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সব দিবস পালিত হয়। পালনীয় সেই সব দিবসগুলোর মধ্যে একটি হলো আজ বিশ্ব ওজন স্তর রক্ষা দিবস।
প্রতিবছর সারাবিশ্বে ১৬ সেপ্টেম্বর আজ বিশ্ব ওজন স্তর রক্ষা দিবস পালন করা হয়। বিশ্ব ওজোন দিবসে প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য থাকে। ২০২২ সালের প্রতিপাদ্য ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল-জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’।
১৯৮৭ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর বায়ুমন্ডলের ওজন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ যা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজন স্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। এই ঘটনাটিকেই স্মরণ করে পালিত হয় বিশ্ব ওজন দিবস। আর এই প্রটোকলে অন্তর্ভুক্ত সব দেশে ২০৪০ সাল নাগাদ এসব গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ওজন স্তরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বৈশ্বিক পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি। বাংলাদেশে শহর এলাকায় পরিবেশ দূষণে ক্ষতি হয় বছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা। পরিবেশ জনিত দূষণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে ৮০ হাজার মানুষ মারা যায়।
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হয়, ওজন স্তরের ক্ষয়ের ফলে যে অতি বেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে প্রবেশ করে তা ত্বকের ক্যান্সার, চোখের ছানি, উদ্ভিদ জগতের ক্ষতি, সমুদ্রের জীবের হ্রাস ইত্যাদি সমস্যার কারণ হতে পারে। ওজন স্তর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের এমন একটা অংশ যেখানে সাধারণত পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের তুলনায় খুব ঘন এবং তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজন গ্যাস থাকে।
ওজন স্তর ধ্বংসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে- বজ্রপাত, আলোক-রাসায়নিক বিক্রিয়া, অগ্ন্যুদগম, অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব, ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন, নাইট্রিস অক্সাইড, ক্রোমিন পরমাণু, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফারের কণা ইত্যাদি। ওজন স্তর ধ্বংস মানে পরিবেশ ও মানবজাতির জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনা।
বিশেষ করে ত্বকের ক্যান্সার ও চোখের ছানি পড়া রোগের প্রকোপ বাড়বে। তাছাড়া, প্রাণী জগতের অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সিএফসিসহ অন্যান্য গ্যাস উৎপন্ন হয় এমন শিল্প কারখানাগুলোর গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। এটাই আজ বিশ্ব ওজন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।