সাতক্ষীরার চা বিক্রেতা ইয়াছিন মোলার হত্যার দায় স্বীকার করে আসামী জাকির হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর সরদারপাড়ার চা ব্যবসায়ি ইয়াছিন আলী মোলাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেন। সোমবার বিকেলে তিনি সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক রাকিবুল ইসলামের কাছে এ জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেন সাতক্ষীরা শহরতলীর পারকুকরালি কাঠালতলার গুচ্চ গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে। মামলার বিবরনে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কে একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য গত ৩০ আগষ্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে শহরের সুলতানপুরের শাহবাজ মোলার ছেলে ইয়াছিন মোলাকে পুরাতন সাতক্ষীরার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায় জাকির হোসেন।
পরদিন সকালে বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকার নুরুজ্জামানের চিংড়ি ঘেরের পার্শ্ববর্তী নেপিয়ার ঘাসের বাগান সংলগ্ন জলাশয় থেকে পুলিশ ইয়াছিন আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন বাদি হয়ে কারো নাম উলেখ না করে ৩১ আগষ্ট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়,রবিবার ভোরে র্যাব এর বিশেষ অভিযানে শহরতলীর পারকুকরালির কাঠালতলা গ্রচ্ছগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জাকির হোপসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার দেখানো মতে কামাননগরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের মাছের ঘেরের দক্ষিণ পাশের বাইপাস সড়কের কালভার্টের নীচের জলাশয় থেকে নিহতের মুণ্ডু উদ্ধার করা হয়। র্যাব এর কাছে সে স্বীকার করে যে, পাওনা ২০ হাজার টাকা দিতে টালবাহানা করায় তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বাইপাস সড়কে একাই কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে বলে জানায় জাকির। পরে কাটা মুণ্ডুটি কামাননগরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের মাছের ঘেরের দক্ষিণ পাশের বাইপাস সড়কের কালভার্টের নীচের জলাশয়ে বস্তায় ভরে ফেলে দেয়। রবিবার দুপুরে জাকিরকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আজিজুল ফয়সাল তারেক জানান, গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেনকে সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির করানো হয়। সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক রাকিবুল ইসলামের কাছে সে ইয়াছিন মোলাকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ২০ হাজার পাওনা টাকার জন্য ইয়াছিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে বলে বিচারককে জানিয়েছে। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।