‘কীভাবে কী ঘটল কিছুই জানি না’ বললেন বেঁচে যাওয়া মাইক্রোযাত্রী

ডেক্স নিউজ:

তানভীর হাসান হৃদয়। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের একজন। সঙ্গে থাকা ১১ জনকে চিরতরে হারিয়ে তানভীর এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকার আরঅ্যান্ডজে প্রাইভেট কেয়ার নামে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন সবাই। শুক্রবার সকালে ছাত্র-শিক্ষকসহ ১৭ জন মিলে গিয়েছিলেন খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে। সেখান থেকে ফেরার পথেই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তানভীর।

তিনি বলেন, গাড়িতে আমাদের কোচিংয়ের শিক্ষক জিসান, রিদোয়ান, রাকিব ও সজিব ছিলেন। চালকসহ মোট ১৮ জন গাড়িটিতে ছিলাম। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কখন দুর্ঘটনা হয়েছে, কীভাবে হয়েছে কিছুই মনে নেই আমার। ঘটনার পর থেকে আমি অজ্ঞান ছিলাম।

গাড়িটিতে থাকা শিক্ষকদের একজন ওয়াহিদুল আলম জিসান। তার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ওরা কোচিং সেন্টার থেকে খৈয়াছড়া গিয়েছিল। পরে শুনি গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ভাইয়ের খবর পাইনি’।

শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পাঁচজন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)