আশাশুনির বড়দলে প্রদীপের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন
আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামে প্রদীপ কুমার মন্ডল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানাগেছে। ডিসিআর নেওয়া জমিতে জোর পূর্বক ঘর বাঁধতে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের সাথে গোলযোগের পর টেনশানে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার ও এলাকাবাসী ধারনা করছে।
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামে প্রদীপ কুমার মন্ডল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানাগেছে। ডিসিআর নেওয়া জমিতে জোর পূর্বক ঘর বাঁধতে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের সাথে গোলযোগের পর টেনশানে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার ও এলাকাবাসী ধারনা করছে।
পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানান, বুড়িয়া গ্রামের মৃতঃ সচিন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে প্রদীপ বুড়িয়া শিবকালি মন্দিরের কাছে জমি ডিসিআর নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। একই গ্রামের মহি উদ্দিন শেখের ছেলে ফেরদৌস মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকালে ভগ্নিপতি করিম মালী ও আমিরুলকে সাথে নিয়ে সচিন্দ্রের মাছের ঘেরে জোরপূর্বক ঘর বাধতে গেলে সচিন বাধা দেয়। কিন্তু তারা না শুনে বাধতে থাকলে কথা কাটাকাটি ও গোলযোগ হয়। ক্ষোভে দুঃখে প্রদীপ অস্বাভাবিক হয়ে বাড়িতে ফিরে শুয়ে পড়ে। ধারনা করা হচ্ছে শোয়াবস্থায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
মৃত প্রদীপের স্ত্রী স্বপ্না জানান, জোর করে ঘর বাধতে থাকলে বাধা দিলে চেয়ারম্যান ঘর বাধতে বলেছে বলে তারা জানায়। চেয়ারম্যানকে ফোন করলে তিনি অস্বীকার করেন। কিন্তু তারা ঘর বাধা বন্ধ না করায় তার স্বামী বাড়ি এসে শুয়ে পড়েন, আর ওঠেনি বলে তিনি জানান।
ইউপি সদস্য আঙ্গুর হোসেন ডালিম জানান, চেয়ারম্যান সকালে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসবেন সিদ্ধান্ত দেন। তারপরও ফেরদৌসরা জোরকরে ঘর বাধতে যায়। প্রদীপ ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শুয়ে পড়ে আর ওঠেনি।
এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন। লাশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
Please follow and like us: