কলকাতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা চেতনায় একাত্তর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ :
বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির চেতনায় একাত্তর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
গতকাল ভারতের কলকাতার একাদেমি অফ ফাইন আর্টস এর কনফারেন্স রুমে সম্মানিত অতিথি
হিসেবে চেতনায় একাত্তর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক
ড. পবিত্র সরকার ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপরাষ্ট্র দূত শ্রী আন্দালিব ইলিয়াস।
এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চেতনায় একাত্তর বইয়ের লেখক সাতক্ষীরা-২
আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময়
এমপি রবি তার বক্তব্যে বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে
সহযোগিতা করেছে। তাদের কাছে আমরা ঋণী। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের
সহযোগিতার কথা বাংলাদেশ কখনও ভুলবেনা। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় গড়ে তুলতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা তাদের জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
নতুন প্রজন্ম যত জানবে তত বেশি তারা দেশপ্রেম নিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এজন্য মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের বীরত্বগাথা লেখা বইগুলি পড়তে সকলকে উদ্বুর্দ্ধ করতে হবে। মহান
মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ত্যাগের ফসল হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতাকে
অর্থপূর্ণ করতে হলে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের সাহিত্যিক ড. নজরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ ড. সুবীর
মৈত্র প্রমুখ। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে চেতনায় একাত্তর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সাহিত্যিক অমর মিত্র, সাহিত্যিক অনিন্দিতা
গোস্বামী, গবেষক অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমানসহ অন্যান্য সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি ও
অন্যান্য সম্মানীয় গুণী ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুভ সূচনা আগে গার্গী চক্রবর্তীর শিউলি ভট্টাচার্যের একটি সুন্দর সংগীত
পরিবেশিত হয় এবং তার সাথে সাথে সম্মানীয় ব্যক্তিদের একটি করে গাছ উপহার দিয়ে এই
অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। সকল সম্মানীয় অতিথিদের একটি বার্তা যেভাবে এখানকার মানুষ
বাংলাদেশের বইগুলিকে সম্মান দিলেন এবং এখানে প্রকাশিত করলেন আমরা গর্বিত আমরা
কৃতজ্ঞ, এখানেও যে মানুষ বাংলাদেশের বই ভালোবাসে এবং বই পড়তে ভালবাসে তার উদাহরণ আজ
আমরা পেলাম, আশা করি বইগুলি পড়লে আরো ভালো লাগবে এবং অনেক কিছু জানতে পারবেন
বাংলাদেশ সম্বন্ধে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং মানুষের সামনে বাংলাদেশের বিভিন্ন
বিষয় তুলে ধরেন গবেষক পার্থ বন্দোপাধ্যায়।