উগান্ডায় বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় মাটির নিচে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আকরিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ থেকে তাদের আয় হতে পারে ১২ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি, যার ফলে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োরি মুসেভেনি গত মাসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ৩ কোটি ১০ লাখ টন স্বর্ণ আকরিকের সন্ধান পাওয়ার কথা জানান।

পরিশোধনের পর এ থেকে অন্তত ৩ লাখ ২০ হাজার টন বিশুদ্ধ স্বর্ণ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই কাজে বিদেশি বড় বড় কোম্পানির কাছ থেকে বিনিয়োগ আশা করছেন উগান্ডান প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় ছয়টি স্বর্ণ পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, উগান্ডা থেকে অপরিশোধিত স্বর্ণ রপ্তানির সময় শেষ।

দেশটির জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সলোমন মুয়িতা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইল মনিটর জানিয়েছেন, তাদের স্বর্ণসমৃদ্ধ এলাকাগুলো পূর্ব উগান্ডার বুসিয়া ও ক্যারামোজা, মধ্য উগান্ডার ক্যামেলেং, কিসিটা, এনগুগো এবং পশ্চিম উগান্ডার বুশেনিতে অবস্থিত।

তিনি জানান, এসব এলাকায় মজুত ৩ কোটি ১০ লাখ টন আকরিক পরিশোধনের পর অন্তত ৩ লাখ ২০ হাজার ১৫৮ টন বিশুদ্ধ স্বর্ণ পাওয়া যাবে, যার মূল্যমান আনুমানিক ১২ লাখ ৮০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

মুয়িতা বলেন, ওয়াগাগাই নামে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান বুসিয়ায় খনির কাজ শুরু করেছে। চলতি বছরই তাদের উৎপাদন শুরু হতে পারে। ওই খনি থেকে দৈনিক পাঁচ হাজার কেজি স্বর্ণ উত্তোলন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারি হিসাব অনুসারে, আফ্রিকা গোল্ড রিফাইনারি চালুর পর থেকে উগান্ডার স্বর্ণ রপ্তানি ক্রমাগত বাড়ছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে দেশটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯০ কোটি ডলারের স্বর্ণ রপ্তানি করেছিল। একই সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৪০ কোটি ডলার ও হংকংয়ে ২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার সমমূল্যের স্বর্ণ রপ্তানি করেছিল উগান্ডা।

তবে আফ্রিকা গোল্ড রিফাইনারির স্বর্ণের উৎস অবৈধ অভিযোগ তুলে গত মার্চে প্রতিষ্ঠানটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)