তালায় খাল খননের নামে রেকর্ডীয় জমি কাটার অভিযোগ 

ফারুক সাগরঃ
তালার খলিষখালীতে খাল খননের নামে রেকর্ডীয় জমি কাটার অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে তালা সহকারী ভুমি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী। সরজমিনে গেলে ভুক্তভোগী মীর আসাদুজ্জামান জানান, গাছা মৌজার  ৮২৮, ৮৩২ দাগের ২০একর ৭০শতক জমির মধ্যে পৈত্রিক সুত্রে  আমি এবং আমার ভাই আসলাম সহ ১৫ একর জমির মালিক। সেই সুবাদে  জমিতে আমি এবং আমার ভাই আসলাম আকাশ এন্ড এগ্রো ফিস নামে একটি মাছের প্রোজেক্ট দীর্ঘদিন পরিচালনা করে আসছি। চলতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক খাল খনন শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা কোন বাঁধা বিপত্তি না মেনেই আমার রের্কডীর জমির উপর দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। আমি বিষয়টি বারবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জানালেও তিনি কথায় কোন কর্নপাত করেননি।উপায় না পেয়ে আমি তালা সহকারী ভুমি কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। আজ সোমবার সকালে পুনরায় মাটি খননের কাজে বাঁধা দিতে গেলে ঠিকাদার ইব্রাহিম আমাকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তার সাথে মুঠো ফোনে  কথা বলিয়ে দেন। তারপর তিনি বলতে থাকেন বিকালে এসে বিষয়টি সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তীতে আমি তাকে বারবার ফোন দিলে তিনি আসবেন আসবেন বলে টালবাহানা করতে থাকেন। সবশেষ তিনি নিজের জমি রক্ষায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয়রা জানান, দুধলী বিলের খালের পাশ দিয়ে  প্রায় ৮ বিঘা জমি রয়েছে কুমিরা এলাকার মীর  আছাদুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীর। তিনি এবং তার ভাই সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি ভোগদখল করে আসছেন।সম্প্রতি খাল খননের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার জোর পূর্বক আসাদ ভাইয়ের জমির উপরে মাটি ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া খালের পাশে সরাকারী জমিতে অনেকে বসবাস করে একারনে সেখানে তাদের সাথে সমঝোতার মাধ্যে খাল খনন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার। টিকারামপুর গ্রামের জাহিদুল সরদার জানান, খলিষখালী ইউনিয়নের দুধলীর বিলে যেখানে খাল খনন করা হচ্ছে সেই খালের পাশ দিয়ে আসাদুজ্জামান নামে এক জনের জমির রয়েছে বলে জানতাম। দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে ভোগদখল করে মাছ চাষ করে আসছেন। এছাড়া খালের অপরপ্রান্তে  ৩৭শতক জমিও রয়েছে তার। ওই এলাকায় তিনি লীজ  দিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা ইচ্ছাকৃত ভাবেই তার জমিতে মাটি ফেলে ফসলের ক্ষতি করছে। আসাদভাই তাদের বাঁধাও দিয়েছে তারা কোন কথাই শোনেনি।
এ বিষয়ে পানিউন্নয়ন বোর্ডের সাব ঠিকাদার ইব্রাহিম হোসেন জানান, চলমান খালের দুই পাশে  ৫ ফুট করে কাটার নিয়ম আমাদের  সিডিউলে সেটা উল্লেখ করা  আছে। তবে এ বিষয়ে  আমার কোন প্রকার লিখিত  নোটিশ পায়নি। নিষেধাজ্ঞা পেলে সেখানে কাজ বন্ধ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি  জানান,  এ বিষয়ে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে কাগজ পত্র দেখে এ বিষয়ে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান জানান, খাল খননের বিষয়ের সাথে কৃষি অফিস এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড জড়িত এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)