সাতক্ষীরার বাঁশদহ শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুর রহমান গুলিবিদ্ধ
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহ শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুর রহমান মোশাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটার দিকে বাঁশদহ শহীদ স্মৃতি কলেজ মোড়ে আব্দুল জলিলের বাড়ির সামনে এ হামলা চালানো হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা মেসডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ফজলুর রহমান (৫৯) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘোনা গ্রামের মৃত ফেরাজতুলাহ গাজীর ছেলে ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি বাঁশদহ শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ ও ঘোনা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজলুর রহমান মোশা জানান, তার কলেজ পরিচালণা পরিষদের সভাপতি গোলাম মোর্শেদের সঙ্গে ও ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশেরজ সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনে সাতক্ষীরা শহরে আসার জন্য কলেজ থেকে বের হন। নিজের মোটর সাইকেলে চালিয়ে দুপুর পৌনে একটার দিকে কলেজের সামনে মেইন রোডের কর্ণারে আব্দুল জলিলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একটি মোটর সাইকেলে দুইজন হেলমেটধারি ব্যক্তির মধ্যে পিছনের জন্য তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। গুলি তার ডান পায়ের উরুতে লেগে মারাত্মক জখম হন তিনি। সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে মোটর সাইকেল চালিয়ে দক্ষিণ দিকে চলে যায়।
বাঁশদহা শহীদ স্মৃতি কলেজের উপাধ্যক্ষ দীপক কুমার মলিক জানান, অধ্যক্ষের গুলির খবর পাওয়া মাত্র তারা কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্র ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। পুলিশ ও অধ্যক্ষের মেয়ে জুঁথি, স্মৃতি ও সুরভিকে অবহিত করে পরে রাস্তার উপর গুলিবিদ্ধ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শাহারুন ইসলাম জানান, ফজলুর রহমানের ডান পায়ের উরুতে গুলি লেগেছে। দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে অপারেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স.ম কাইয়ুম জানান, তিনি অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে জেনেছেন যে গুলিবিদ্ধ ফজলুর রহমান শঙ্কামুক্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।