আশাশুনির কলিমাখালী গেটের দুরাবস্থায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:

আশাশুনি উপজেলার কলিমাখালী এলাকার নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত মানুষ পাউবোর জরাজীর্ণ গেটের কারনে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে। কখন না জানি গেট ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয় সে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকাবাসী। দু’ফোকড়ের গেটটি দীর্ঘকাল ঝুঁকিতে ছিল। অনেক দুর্ভোগের পর ২০১৯ সালে গেটের সংস্কার কাজ করা হয়। তখন মানুষের মনে স্বস্তি ফিরলেও বেশীদিন স্বস্তিতে থাকা সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা পুনরায় প্লাবিত হলে তখন প্লাবনের পানিতে গেটটিরও ক্ষতি সাধন হয়। সেই থেকে গেটের দু’পাশের ভাঙ্গন দেখা দেয়। গেটের ফোকড়ের দুপাশ দিয়ে পানি চুইয়ে উঠানামা করতে শুরু করে। আস্তে আস্তে মাটি সরে বড় হয়ে পানির পরিমান বেড়ে গেছে।

জোয়ার ভাটার সময় পানি ওঠানামা করছে। অবস্থা এতটাই খারাবের দিকে যাচ্ছে যে, পানির চাপে গেট ভেঙ্গে প্লাবনের শঙ্কা বিরাজ করছে। কলিমাখালি, লঙ্গলদাড়িয়া, রাধারআটি, নছিমাবাদ, হিজলিয়া গ্রাম পুরোপুরি এবং মাড়িয়ালা ও হাজরাখালীর অংশ বিশেষের পানি এই গেট দিয়ে নিস্কাষন হয়ে থাকে। নদী থেকে পানি ওঠানামা করায় এসব গ্রামের মানুষ ও ঘের মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রব জানান, গেটটি এলাকার জন্য খুবই জরুরী। গেটের ফোঁকড় নষ্ট হয়ে দু’পাশ দিয়ে মাটি ছিদ্র করে ভিতরে পানি ঢুকছে। দ্রত সংস্কার না করলে গেটটি ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তিনি বিষয়টি পাউবো’র এসও এবং নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো কেউ আসেননি বলে তিনি জানান। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)