দেশে একদিনেই বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু
বজ্রপাতে দেশের ছয় জেলায় ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বজ্রপাতে ময়মনসিংহে প্রাণ গেছে ছয়জনের। এছাড়া গাজীপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহে মাছ ধরতে গিয়ে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তিন শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরের দিকে জেলা সদর, নান্দাইল ও ধোবাউড়া উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দুজন।
বগুড়ার আদমদীঘি ও ধুনটে বজ্রপাতে দুজনের প্রাণহানি হয়েছে। আদমদীঘির ছাতিয়ান গ্রাম ইউপির কোমারভোগ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে কৃষক জহুরুল ইসলামের।
আদমদীঘি থানার এসআই প্রদীপ কুমার বর্মণ জানান, বাড়ির পাশে মরিচ ও অন্যান্য সবজির জমি আছে জহুরুলের। দুপুর ১২টার দিকে ঐ জমির পরিচর্যার কাজ করছিলেন তিনি। সে সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর আগে, ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে মারা গেছেন আরেক কৃষক।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শুক্রবার দুপুরে মাছ ধরতে গিয়ে এক কৃষক এবং বিকেলে কালিয়াকৈরের ফুলবাড়িয়ায় মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে আরেক কৃষকের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে। মৃতরা হলেন- কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের ৫০ বছর বয়সী কিরণ মিয়া ও কালিয়াকৈরের ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মজিদচালা এলাকার ৫৫ বছর বয়সী আব্দুস সোবাহান।
কাপাসিয়া থানার ওসি এ এফ এম নাসিম এবং কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই সোহেল মোল্লা বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিলের পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শাকিল নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর বিলে এ ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় রহিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের দোপের মাঠে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটেছে।