সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়মিত রোগী ভর্তি ও অস্ত্রপচার:দেবহাটার হাবিবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ
মোমিনুর রহমান:
সারাদেশব্যাপী অনিবন্ধিত প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেবহাটার কুলিয়া আশু মার্কেট¯’ হাবিবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়মিত চলে আসছিল রোগীদের অস্ত্রপচার। সরকারি অনুমোদন না থাকা স্বত্বেও জেলা ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের কারসাজি এবং জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জয়ন্ত কুমার সহ বেশ কয়েকজন অসৎ চিকিৎসকের শেল্টারে প্রতিনিয়ত গর্ভবতী মহিলাদের সিজারিয়ান, অ্যাপেনডিকস সহ নানাবিধ রোগের অস্ত্রপচার নিয়মিত চলছিল হাবিবা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে। এমনকি নিজেই ডাক্তার সেঁজে এসব বড় ধরনের অপারেশন করে আসছিলেন স্বয়ং ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম। ভুক্তভোগী রোগী ও স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে দেবহাটা প্রেসক্লাবের গণমাধ্যমকর্মীরা ক্লিনিকটিতে হানা দিলে বেকায়দায় পড়ে যান খোদ ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম।
শুরুতেই জেলা ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের নেতা জনৈক রাসেল এবং সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জয়ন্ত কুমারের নির্দেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা লংঘন করে ক্লিনিকটি পরিচালনা ও রোগীদের অস্ত্রপচার করছেন বলে আস্ফালন শুরু করেন রবিউল ইসলাম। সেসময় গণমাধ্যমকর্মীদের রক্তচক্ষু দেখিয়ে ক্লিনিকটিতে ভর্তি থাকা সিজারিয়ান অপারেশনকৃত প্রসূতি, সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতক এবং অ্যাপেনপিকস অপারেশনকৃত কয়েকজন রোগীকে তড়িঘড়ি ডিসচার্জ করে ক্লিনিক থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত এবং পরবর্তীতে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। সরকারি অনুমোদন বা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্লিনিক মালিক রবিউলকে আটক করে ক্লিনিক থেকে উপজেলাতে নেয়া হয়। পরে ক্লিনিকটি অনুমোদনের আগ পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশসহ মেডিকেল প্রাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ মোতাবেক ক্লিনিক মালিক রবিউলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
এ ব্যাপারে নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করায় পরপর সখিপুরের গাজী সার্জিক্যাল ক্লিনিক এবং কুলিয়ার হাবিবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং উভয়কে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। যেসকল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার অবৈধভাবে পরিচালনা এবং রোগী ভর্তি ও অস্ত্রপচার করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।