খালেদার হৃদপিণ্ডে ব্লক, তারেক আতঙ্কে বিএনপির সিনিয়ররা
নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম রিপোর্টে হৃদপিণ্ডে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে। একটিতে রিং পরানো হয়েছে। বাকি দুটি ব্লকের বিষয়ে শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ৭৬ বছর বয়সী দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে, শুক্রবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে সিসিইউতে কার্ডিওলজিস্টদের পর্যবেক্ষেণে রাখা হয়েছে।
তবে খালেদা জিয়ার এমন শারীরিক পরিস্থিতিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন তার দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত লন্ডনে পলাতক ছেলে তারেক রহমান। হয়তো মারা যেতে পারেন খালেদা, এমন চিন্তায় লন্ডন থেকে দলের ওপর একের পর এক নির্দেশনা চাপিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন খালেদাপন্থী নীতি নির্ধারকরা।
জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারেক রহমান দলের মধ্যে একটা বলয় তৈরি করেছেন। দলের নীতি-নির্ধারণী সব সিদ্ধান্তই তার কাছ থেকে আসছে। তাকে নিয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, দলের সব সিদ্ধান্তই যদি তারেক রহমান এককভাবে নেন, তাহলে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাজ কী? তারা কি কারণে বিএনপিতে আছে? খালেদা জিয়া হার্টের রোগী। এমন সময় যদি দলের ক্ষমতা নিয়ে চিন্তা করতে হয়, তবে খালেদা জিয়া মারা গেলে বিএনপির কী অবস্থা হবে, সে বিষয় চিন্তা করা দরকার।
বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, এ মুহূর্তে তারেক রহমানের উচিত বিএনপির নীতিনির্ধারকসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ওপর দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া। কেননা লন্ডনে বসে দেশের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায় না। দেশের বাইরে থেকে দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।