সাতক্ষীরায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ প্রকল্পে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কর্মশালা 

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ প্রকল্পে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কর্মশালা অনুষ্ঠিত। রবিবার ৫ই জুন সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে এনজিও সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্ট সংস্থার উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত কর্মশালায় সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্টের খুলনা আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জুর সভাপতিত্বে ও সংস্থাটির আঞ্চলিক সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রুবিনা আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা ইমাম পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মুক্তি আক্তারুজ্জামান,সাতক্ষীরা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আরিফুজ্জামান আপন,পলাশপোল আহসানিয়া জামে মসজিদের ইমাম শরিফুল ইসলাম,মুন্সিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মোঃ আব্দুল হামিদ, কাটিয়া শাহী জামে মসজিদের ইমাম মুক্তি হাফিজুর রহমান,সিদ্দিকীয়া জামে মসজিদ কমিটির সদস্য মোঃ মুছা করিম,মাছ খোলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মোঃ মফিজুল ইসলাম,আখড়াখোলা মুচড়া জামে মসজিদের ইমাম জাহিদুর ইসলাম,আল-আমীন জামে মসজিদের ইমাম মোঃ রুহুল আমিন, রামচন্দ্রপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ আলমগীর আলম,প্রোহিত রবীন্দ্র নার্থ মন্ডল,সাতক্ষীরা মিশন(গির্জা প্রতিনিধি) ডমিনিক মন্ডল, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের জেলা সমন্বয়কারী কাকলী সরকার,সমন্বয়ক মো. আজমির হোসেন প্রমুখ।কোভিড-১৯ প্রতিরোধ প্রকল্পে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কর্মশালায় বক্তারা  বলেন কোভিড-১৯ প্রতিরোধ এবং টিকা গ্রহণের জন্য ব্যক্তি এবং সমাজের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং অনুশীলনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, পপুলার থিয়েটার বা লোকগানের মাধ্যমে গণসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। হাট,বাজার,বাস স্টেশন,মসজিদ এবং অন্যান্য জনবহুল স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক তথ্য সম্বলিত ক্লাস রুটিন বিতরণ করা। জনবহুল স্থানসমূহে পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো।
এছাড়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধমূলক আচরণ, সেবাদান এবং ভ্যাকসিন গ্রহণে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার সুবিধার্থে সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা। কমিউনিটি লিডারদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে তাদের সাথে প্রকল্প পরিচিতি সভা করা। গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণের সাথে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে টিকাদানের বিষয়ে প্রচারণা/উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা।জনগণের অভিগম্যতা বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে (চাহিদা প্রকাশ, প্রতিক্রিয়া জানানো, উদ্বেগ/অভিযোগ উত্থাপন ইত্যাদি) সুদৃঢ়করণ।জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে টাউনহল বৈঠক/মতবিনিময়। নাগরিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিতকরণের জন্য সরকারী পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে অ্যাডভোকেসি মিটিং আয়োজন করতে হবে। তাহলে কোভিড-১৯  প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।সেজন্য কমিউনিটির সকল পর্যায়ের মানুষদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দরা।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)