পাঁচ জেলায় ৩৭ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
নিউজ ডেস্ক:
সারাদেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। ফরিদপুর, নাটোর, কুষ্টিয়া, চাঁদপুর ও ভোলা জেলার স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্য অধিদফতরের (ডিজিএইচএস) নির্দেশনা অনুসরণ করে গতকাল শনিবার এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ফরিদপুরের পাঁচ উপজেলায় ২০টি, নাটোরে সাতটি, কুষ্টিয়ায় পাঁচটি, চাঁদপুরে চারটি ও ভোলায় একটি উপজেলায় সিলগালা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, স্বাস্থ্য অধিদফতর ৭২ ঘন্টার মধ্যে সারাদেশে সমস্ত অনিবন্ধিত ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ফরিদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একটি দল ফরিদপুর সদর উপজেলায় দুটি, সালথা উপজেলায় তিনটি, মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলায় সাতটি এবং সদরপুর উপজেলায় একটি করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়।
নাটোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে সেন্ট্রাল ল্যাব ডায়াগনস্টিক, পদ্মা ক্লিনিক, ফাইম ডায়াগনস্টিক, বরাত ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিক, হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক, তামান্না ডায়াগনস্টিক ও মদিনা চক্ষু হাসপাতাল সিলগালা করা হয়।
এদিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী কুমারখালী উপজেলার পাঁচটি অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিক বন্ধ ও অন্যটিকে সতর্ক করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া ক্লিনিকগুলো হলো, প্রতীক আধুনিক ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রদীপ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিশ্ব ডেন্টাল কেয়ার, শিমুল ডেন্টাল কেয়ার এবং কুমারখালী ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন।
এছাড়া হাইমচর উপজেলায় তিনটি এবং চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় আরেকটি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বেলায়েত হোসেন ও ডা. গোলাম মাওলা জানান।
ভোলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী সুজা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে আইনি কাগজপত্র ও লাইসেন্স দিতে না পারায় আব্দুল খালেক মেমোরিয়াল হাসপাতাল সিলগালা করে দেন।