কালিগঞ্জে কৌশলে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক শহিদুল
আরাফাত আলী :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গাঁন্ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইমরানের বিরুদ্ধে কয়েক জন ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে উঠেছে। ওই স্কুলের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর প্রায় ৬-৭ জন ছাত্রী তার যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। গত মঙ্গলবার পঞ্চম শ্রেণীর ৪-৫ জন ছাত্রীকে ক্লাসের ভিতরে যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদেরকে অভিহিত করেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে গত বুধবার সকালে স্কুল চলাকালীন সময়ে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে গন ধোলাইয়ের শিকার হন ওই শিক্ষক।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬মে) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এবিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন।
এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন সহকারী শিক্ষা অফিসারের কাছে ।
ভুক্তভোগী কয়েকজন ছাত্রী জানায়, স্কুল চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তাদের শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিতো। ওই শিক্ষকের ক্লাস কালীন সময়ে তাদের কয়েকজন ছাত্রীকে ক্লাসের পিছনের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। বাকি শিক্ষার্থীদের সুকৌশলে সামনে বেঞ্চে বসিয়ে দিতেন তিনি। এই সুযোগে পিছনের বেঞ্চে বসে থাকা ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন শহিদুল ইসলাম।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইমরান বলেন, গত মঙ্গলবার পঞ্চম শ্রেণীর ৪-৫ ছাত্রীকে বেতের লাঠি দিয়ে মারধর করেন তিনি। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীদের গাঁয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন তিনি। গত বুধবার সকালে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মারধর করেছে স্থানীয়রা বলে জানান তিনি।
গাঁন্ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকপ্রধান শিক্ষক মোঃ আজমল হোসেন সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ করার সময় বাঁধা প্রদান করেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন যৌনহয়রানি অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আমি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন আমি সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর পাঠিয়ে দিবো। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইমরানের বিরুদ্ধে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
Please follow and like us: