আ’লীগ নেতার ইন্ধনে মামা কর্তৃক ভাগ্নের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় হাইব্রীড আ’লীগ নেতা রফিকুলের
ইন্ধনে মামা রতন বৈদ্য কর্তৃক ভাগ্নের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে খুন
জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ
সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা শহরের পারকুখরালী গ্রামের মৃত
বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের পুত্র পরিতোষ বিশ্বাস। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন,
আমি ইটভাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার
বসবাসের কোন জমি না থাকায় একই গ্রামের মৃত হামিজউদ্দীনের পুত্র
মো: আবু সাঈদের রামদেবপুর মৌজায় জে এল নং ৯৬, ২৩৭২ নং খতিয়ানে
৪২৩৮ দাগে রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে বসবাস করতাম। আমার অসহায়ত্বের কথা
বিবেচনা করে আবু সাঈদ আমার কাছে ২ শতক সম্পত্তি বিক্রয় করেন।
আমার ক্রয়কৃত ২শতক সম্পত্তির সামনে কিছুটা খাস সম্পত্তি রয়েছে।
আবু সাঈদ সম্পত্তি আমাকে লিখে দেওয়ার পর একই এলাকার গুটি খালেকের
পুত্র রফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাকে কেন লিখে দেওয়া হলো তা
নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার আপন মামা রতন বৈদ্যেকে
অবৈধ লোভ ও লাভের আশ্বাস দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে একের পর এক
মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে থাকে এবং আমার ওই ২শতক সম্পত্তির সামনে খাস
সম্পত্তিটুকু দখল নেওয়ার পায়তারা করতে থাকে। এনিয়ে আবু সাঈদ, তার
ভাই আবু সালেক এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান
আমাকে সহযোগিতা করায় তাদের বিরুদ্ধেও পত্রপত্রিকায় একের পর এক মিথ্যা
হয়রানির উদ্দেশ্যে মূলক অপপ্রচার করে। এমনকি জনৈক ফাহিমা খাতুন
ফুটায়াকে দিয়ে নাটক সাজিয়ে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি
মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। ওই মামলার স্বাক্ষী রফিক ও রতন বৈদ্য। অথচ
ফাহিমা খাতুনের সাথে আবু সাঈদের স্ত্রীর বিরোধ হয়েছিল। সাঈদের
সাথে কোন কথায় হয়নি শুধু মাত্র তাকে হয়রানি করতে আবু সাঈদের আপন
বড় ভাই আবু জাফর সরদার, রফিকুল এবং রতন বৈদ্যের ইন্ধনেই ওই মিথ্যা ধর্ষনের
মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবু সাঈদের সাথে তার বড় ভাই আবু জাফরের
বিরোধ থাকায় ফাহিমা খাতুন ফুটুয়ার মামলার সকল খরচ আবু জাফরই বহন
করছেন। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে রফিকুলের
নেতৃত্বে মামা রতন বৈদ্যসহ তাদের সহযোগিরা আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি
প্রদর্শণ করে বলে “এখানে তুই ঘর নির্মান করতে আসলে আগুন জ্বালিয়ে
দেবো, মেরে ভারতে তাড়িয়ে দেবো।”এনিয়ে আমাকে সহযোগিতা করতে
আসায় মিথ্যা মামলায় ফেঁসেছেন আবু সাঈদ ও তার ভাই আবু ছালেক।এতে পিছন থেকে ইন্ধন দিচ্ছেন তাদের বড় ভাই আবু জাফর। উল্লেখিত
রফিকুল ইসলাম বিগত সময়ে জামায়াতের অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন।
বর্তমানে ভোলপাল্টে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে
যাচ্ছে। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে আদালতের ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও
তা উপেক্ষা করে সেখানে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্ঠা করে। আমি ওই
সাবেক শিবির নেতা রফিকুল, রতন বৈদ্যসহ সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা
পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।