দেবহাটায় স্বাস্থ্য বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
দেবহাটা প্রতিনিধি:
দেবহাটায় অসংক্রামক রোগ ও সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং সাপে কাটায় মৃত্যুও হার কমানোসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে সিভিল সার্জনের কার্য্যালয়ের বাস্তবায়নে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো এর লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের আয়োজনে এ ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠিত হয়।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ওরিয়েন্টেশনের মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ ও ডাঃ মারুফ হাসান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর খায়রুল আলম, ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান, নির্মল কুমার মন্ডল, সাজু পারভীন, সরকারি কেবিএ কলেজের প্রভাষক আবু তালেব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদ্বয়ের মধ্যে যথাক্রমে অনুপ কুমার, সুজিৎ কুমার ঘোষ, খায়রুল ইসলাম, আবু সালেহে মুছা, আবুল কালাম আজাদ, প্রশাস্ত কুমার, ইয়াসিন আলী, তাছলিমা খাতুন, হেনা পারভীন, এমদাদুল হক, জিয়াদ আলী, হাফেজ কারী রিয়াজুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমীকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, উত্তরণের উপজেলা ম্যানেজার সফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
এসময় বর্ষার মৌসুমে সাপে কাটার প্রবণ বেশি থাকার কথা উল্লেখ করে বলা হয় যে, সাপে কাটার স্থানে যদি ২টি দাঁতের চিহ্ন দেখা যায় তাহলে সেটি বিষাক্ত সাপের আক্রামণ। আর যদি অনেকগুলো দাঁতের দাগ দেখা যায় তাহলে সেটি কম বিষাক্ত বলে গণ্য হবে। তবে সাপে কাটার পর ভয়ে উত্তেজিত না হয়ে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে রুগিকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এছাড়া আক্রান্ত স্থানে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা, সম্ভব হলে বাঁশের চটা দিয়ে লম্বালম্বি ভাবে বেধে রাখা, গামছা বা ওড়না জাতীয় মোটা কাপড় দিয়ে বেধে রাখা। তবে এক্ষেত্রে কোন চিকন কাপড় বা দড়ি দিয়ে শক্ত বাধন দেওয়া যাবে না। এতে রুগির রক্ত সঞ্চলন ব্যহত হয়ে অঙ্গহানীর সম্ভবনা থাকে। তাই রুগিকে উত্তেজিত না করে যতদ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে সাপের বিষ প্রতিরোধক ঔষধ পর্যাপ্ত রয়েছে।
এছাড়া অসংক্রামক রোগ বিষয়ক আলোচনায় বলা হয় যে, অসংক্রামক রোগ একটি নিরবঘাতক। এটির মাধ্যমে মানবদেহ শেষ করে দেয়। বর্তমানে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, কিডনি সংক্রামণ ও সিওপিডিকে অসংক্রামক রোগ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেকারনে খাদ্য অভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন জরুরী। এ জন্য নিয়মিত বেশি বেশি ফল, সবুজ সবজী ও পুষ্টিকর খাবার নিয়ম মেনে খেতে হবে।
তাছাড়া চর্বিজাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া ও নেশাজাতীয় জিনিস সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে লবনের পরিমান কমিয়ে আনতে হবে। অতিরিক্ত চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। পরিমিত ঘুম, প্রতিদিন ৩০/৪০ মিনিট হাটা, কায়িক পরিশ্রমের পরামর্শ প্রদান করা হয়। একই সাথে সড়ক দূর্ঘটনা, ডায়েরিয়া সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনা করা হয়।