সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা, সহায়তা বৃদ্ধির দাবি
অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা। দীর্ঘ এ সময়ে খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধি ও নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে যাতে প্রতিবেশী দেশের জেলেরা মাছ শিকার করে না নেয়, সেই ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন বরগুনার জেলেরা।
এ বছর খুব একটা সুখকর হয়নি জেলেদের ইলিশ মৌসুম। অভাব অনাটনের সঙ্গে কিস্তি খেলাপির যন্ত্রণা আর রোগ-শোকে কাতর এখন জেলেপল্লির বাসিন্দারা। আটঘাট বেঁধে প্রতিবার সমুদ্রে গেলেও অধিকাংশ সময় ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
এরই মধ্যে সুষ্ঠু প্রজনন ও মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০ মে থেকে সমুদ্রে ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
জেলেদের অভিযোগ- নিষেধাজ্ঞার এ সুযোগে দেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করবে প্রতিবেশী ভারতের জেলেরা, যা দেশের জেলে ও মৎস্য ব্যবসাকে ধ্বংস করে দেবে। তাই ভারতের সঙ্গে মিল রেখে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞাকালে সব জেলেদের যথাযথভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার দাবি জেলে ও ট্রলার মালিকদের।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকারের উচিত ভারতের সঙ্গে মিল রেখে একই সময়ে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া। ভারতীয় জেলেরা এ সময়ে আমাদের দেশে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। যার জন্য নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর আর সাগরে মাছ পাওয়া যায় না।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বরগুনায় মোট ২৭ হাজার ২৭৭ জন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞাকালে নিবন্ধিত প্রতিজন জেলে দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফ চাল পাবেন। ইতোমধ্যেই প্রথম ধাপে বিতরণের জন্য ১ হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য অনিবন্ধিত জেলেদের তালিকাভুক্ত করতে কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। খাদ্য সহায়তা বিতরণে অনিয়মের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। আর নিষেধাজ্ঞাকালে সমুদ্রে কঠোর নজরদারি করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।