সাতক্ষীরা পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউলসহ ৫ জনের নামে চাঁদাবাজি মামলা
স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরা পৌর ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমসহ ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন ইটাগাছা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুর রশিদ, নুরুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান লাভলু, মৃত হায়াত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ও মৃত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের ছেলে সুব্রত বিশ্বাস। চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ তুলে সাতক্ষীরা আমলি আদালত—১ এ মামলা দায়ের করেছেন ইটাগাছা এলাকার আনারুল ইসলাম এতিম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জাহানাবাজ গ্রামের ননি গোপাল সাধনের কন্যা বিধবা নিলিমা সরদারের সহিত কর্ম সুত্রে পরিচয় ঘটে ইটাগাছা এলাকার আনারুল ইসলাম এতিমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট নিলিমা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে শেফালি খাতুন নাম গ্রহণ করে আনারুল ইসলাম এতিম কে বিয়ের প্রস্তাব দিলে উভয়ের সম্মতিতে সাতক্ষীরা কোট থেকে এফিডেভিট’র মাদ্যমে ১৮ আগস্ট মৌলভীর মাধ্যামে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কোট থেকে রেজিস্টার করে ১০৮২/২১ নং হলফ নামা সম্পাদন করে। ইটাগাছা বিহারির পুকুরধারে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে।
৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, আব্দুর রশিদ, লাভলু, মোহাম্মদ আলী, সুব্রত বিশ্বাস ২০২২ সালের ১ মে রাত্র ১০ টার সময় ভাড়া বাড়িতে গিয়ে বৈবাহিক সমস্ত কাগজপত্র ভুয়া বলে এবং হিন্দু বিধবা নিয়ে ঘর সংসার করতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে না হলে পত্র—পত্রিকায় নিউজ ছাপিয়ে সম্মানহানি করা হবে বলে শাসিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসে, আর বাকি ৩০ হাজার টাকা না দিলে ভয়ংকর পরিণতি হবে বলে শাসিয়ে আসে।
এসময় তারা শেফালি খাতুনের শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং আনারুল ইসলাম এতিম ও শেফালি খাতুনকে কিল ঘুষি মেরে ১২ আনা ওজনের স্বণের চেইন ছিড়িয়া নিয়ে তার স্পর্শকাতর অংঙ্গে হাত দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। গত ৯ মে ২০২২ চাঁদার বাকি ৩০ হাজার টাকা চাইতে গেলে বাদি এতিম আর কোন টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে ১১ মে ২০২২ স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘ইটাগাছায় স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে লিভ টুগেদার সামাজিক অবক্ষয়ের আশংকা’ শিরোনামে আব্দুর রশিদ সংবাদ প্রকাশ করে। বাদিকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে বলে আদালতে আর্জিতে বলেন।
এব্যাপারে মামলার বাদির সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে সে বলে আমি ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি নীতি মেনে বিবাহ করেছি, আসামিরা আমাকে ভয়ভীতি মারধর ও সম্মানহানি করে চলেছে। আমি নিরিহ মানুষ আদালতের দারস্থ্য হয়েছি আদালত যে বিচার করবে আমি মেনে নিব আমার সম্মান তো আর ফিরে পাবো না। আর কারো যেনো আমার মতো অপদস্থ করতে না পারে। সাক্ষীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা যা জানি আদালতে তাই—ই বলবো।
১৬ মে ২০২২ আমলি আদালত—১, মামলা নং সিআর ৫০৩/২২। আদালত মামলাটি আগামী ৫ আগস্ট ২০২২ তারিখের মধ্যে সাতক্ষীরা পিবিআইকে তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার আদেশ দেন। এব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা মামলা. আশা করি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। আমি আইনের প্রতি আস্থাশীল।
Please follow and like us: