বেনাপোলে পেয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
বেনাপোল, ভোমরা, হিলি ও দর্শনাসহ বিভিন্ন শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পেয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। বিশ্বের মধ্যে অন্যতম আমদানি নির্ভর দেশ বাংলাদেশ। দেশে পয়াজের চাহিদার এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন হয়ে থাকে। ফলে মসলা হিসেবে পেয়াজের চাহিদা ও ব্যাপক কদর থাকায় ভারতসহ অন্যদেশ থেকে আমদানি করা হয় পেয়াজ। ৫ মে পেয়াজ আমদানির আইপি (আমদানি অনুমতি শেষ হয়ে যাওযায় ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি কোন পন্যবাহি ট্রাক। ফলে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাজারে।
ভারতীয় পেয়াজ গত ৫দিন আগে ১৮ থেকে ২২টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২৫থেকে ৩০টাকা। শনিবার দেশের বিভিন্ন সবজির বাজারে পেয়াজের রাতারাতি বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়িরা পেয়াজ ও তেল মজুত করে অতিরিক্ত মুনাফায় আশায় ইচ্ছা মতো দাম নিচ্ছেন। বাজারে পেয়াজ ও তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। বেশিদাম দিলেই মিলছে পেয়াজ ও তেল। এসব মজুদ দারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মনিটরিংসহ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান ভুক্তিভোগী ও স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, দেশে পেয়াজের বাজার সহনীয় থাকায় ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির আইপি বন্ধ রাখা হয়েছে। ৪০ টাকার বেশি পেয়াজ বিক্রি হলে আবারও আমদানির অনমুতি দেওয়া হবে বলে জানান দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ভোজ্য তেলের বাজার অস্থিতিশীল করতে বিপুল পরিমান তেল মজুত করেছে অসাধু ব্যবসায়িরা। তেমনি পেয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি। ভারতীয় পেয়াজ আমদানি বন্ধের অযুহাতে ব্যবসায়িদের কারসাজিতে বেনাপোলে হু হু করে বাড়ছে পেযাজের দাম। বিভিন্ন গোডাউনে পেয়াজের মজুদ থাকলেও রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িরা। দিশেহারা হয়ে পড়ছে নি¤œ আয়ের মানুষ।
যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসন জানায়, বাজার মনিটরিংসহ অভিযান অব্যাহত রাখা হচ্ছে। অবৈধ মজুদারের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ সতর্ক করা হচ্ছে।