আশাশুনিতে এতিমের টাকা আত্মসাতের প্রতিকারের দাবীতে দুদকে অভিযোগ
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার গাজীপুর কুড়িগ্রাম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এতিমের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
২০১৮ সালে মিজানুর রহমান এ মাদরাসায় অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্যসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। প্রয়ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইফুল ইসলাম সম্প্রতি অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাকে রমজান মাসে মহিষকুড় মৎস্য সেটে প্রকাশ্য দিবালকে পিটানো হয়। অধ্যক্ষসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দুটি সিআর মামলা হয়েছে।
এছাড়া তিনি যোগদানের পর মাদ্রাসায় এতিম খানার সাইনবোর্ড থাকলেও কোনো ছেলেমেয়ে ইেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতিম ছেলেমেয়েদের জন্য এ পর্যন্ত আনুমান ১৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা সরকারি ভাবে প্রতিষ্ঠানের নামে এসেছে। গত ১ মাস আগে দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকায় সমাজ সেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতিমের টাকা অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
খবর প্রকাশের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়াদ কালে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা এতিম ছেলেমেয়ে বাবদ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন অনিয়মের বিষয় জানতে পেরে অধ্যক্ষকে অবগত করে প্রাথমিক ভাবে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত ছাড়া কোনো প্রকার টাকা উত্তোলন করা যাবেনা বলে তিনি জানান।
এসব অভিযোগে অধ্যক্ষের গাত্রদাহ শুরু হয় এবং শান্তিপ্রিয় মানুষের নামে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে নিজেকে রক্ষার হীনকৌশল অবলম্বন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই অংশ হিসাবে গত ১১ মে আশাশুনি থানায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ছাত্র, মাওলানা, চাকুরীজীবিসহ ৮জনের নামে প্রতিষ্ঠানে চুরির অভিযোগ এনে দরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় এছহাক গাজী, অভিভাবক আঃ রাজ্জাক ও অভিভাবক মিজানুর রহমানসহ এলাকার অনেকেই জানান, ঈতদ উল ফিতরে ঈদগাহে মাইক চালানোর জন্য কয়েকজন ছেলে মাদরাসার একটি পরিত্যাক্ত কক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সময় পরিত্যক্ত কক্ষের ভগ্ন দরজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অধ্যক্ষ উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেন। এর আগেও অধ্যক্ষের নিজের মৎস্য ঘেরের বাসায় গভীর রাতে নিজের লোক দিয়ে আগুন লাগিয়ে এলাকার সরল সহজ মানুষকে ফাসাতে চেয়েছিলেন বলে এলাকাবাসী জানান।
এসকল অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই রিয়াজ জানান, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।
এব্যাপারে অধ্যক্ষ মিহানুর রহমানের সাথে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে সকাল থেকে বারবার রিং করলেও রিসিভ করা হয়নি।