আশাশুনিতে বিয়ের প্রলোভনে মেলামেশা : অন্তঃস্বত্তার অবৈধ গর্ভপাতে ভিকটিমের মৃত্যু
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
আশাশুনিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিধবার সাথে মেলামেশায় অন্তঃস্বত্তা হলে তাকে উঠিয়ে নিয়ে অবৈধ গর্ভপাতের ফলে ভিকটিমের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বিধবার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃত বিধবার ছেলে বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছে। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে।
মধ্যম বড়দল গ্রামের মৃত লিয়াকত গাজীর ছেলে তাজবীর আহম্মদ বাদী হয়ে দায়েরকৃত এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, ১৩ বছর পূর্বে তার পিতা ইন্তেকাল করেন। একই গ্রামের মোহাম্মদ গাজীর ছেলে কামাল হোসেন তাদের বাড়িতে গিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক মেলামেশা করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
কিন্তু রাজী না হয়ে খালেক গাজীর ছেলে গোলজার ও মৃত পরাণ গাজীর ছেলে মোহাম্মদসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ ব্যক্তির সহযোগিতা ও উস্কানিতে সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দিতে থাকে। এবং ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ২৫ এপ্রিল আসামীদের সহযোগিতায় কামাল ভিকটিমকে ভুল বুঝিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান মেলেনি।
বুধবার (১১ মে) সকাল ৬.৩০ টার দিকে বাদীর চাচাত ভাই আব্দুল্লাহ তাদের বাড়িতে গিয়ে বলে, বাদীর মায়ের মৃতদেহ উত্তর একসরা গ্রামে তার দাদা কাশেম মালীর বাড়িতে অজ্ঞাত ৩/.৪ ব্যক্তি নিয়ে রেখেছে। বাদীর বিশ্বাস তার মাকে কোন ক্লিনিকে নিয়ে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছে। পুলিশ ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে মেডিকেল টেষ্ট করতে থানা হেফাজতে নিয়েছেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এতদসংক্রান্তে এজাহার (নং ১৩ তাং ১১/৫/২২) দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।