টিজারেই বাজিমাত করল ‘অ্যাভাটার-২’
বিনোদন ডেস্ক:
ব্লকবাস্টার সিনেমা অ্যাভাটার। বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্রটি নিউজিল্যান্ডভিত্তিক ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট স্টুডিও ‘ওয়েটা ডিজিটাল’-এ নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। এক দশক ধরে বৈশ্বিক বক্স অফিসে আলোড়ন তোলা সিনেমা ছিল এটি। এ সময়ে আয়ের দিক থেকে অ্যাভাটারকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি কেউ।
তখনই ঘোষণা দেওয়া হয় এর সিক্যুয়েল নির্মাণ করা হবে। তবে নতুন এই পর্বের নাম কি হবে? এ নিয়ে ছিল সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে দীর্ঘ এক যুগ সাসপেন্সের পর ডিজনি ঘোষণা করল অ্যাভাটার ২ সিনেমার টাইটেল। বুধবার ২৭ এপ্রিল সিনেমাটির পরিচালক জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তির ট্রেলার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন অতিথিদের সামনে।
সেখানে দেখা যায় সিনেমা টাইটেল। এরপর ৯ মে সোমবার রাতে সবার জন্য প্রকাশ করা হলো সিনেমাটির প্রথম ট্রিজার। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। অ্যাভাটারের ভেরিফাইড ফেসবুকে ট্রিজার প্রকাশের ১৯ ঘণ্টার মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
অ্যাভাটার সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তির নাম অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার। সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে ১৪ ডিসেম্বর, আর ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিনেমাটি চলবে উত্তর আমেরিকায়।
এর আগে ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানটি হয় লাস ভেগাসের সিনেমাকন থিয়েটারে। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক জন ল্যান্ডউ।
অস্কার বিজয়ী প্রযোজক জন বলেন, জেমস ক্যামেরনের স্ক্রিপ্টগুলো সব সময় সার্বজনীন। চারটি সিক্যুয়ালের প্রতিটির কেন্দ্রে থাকবে সুলি পরিবার। প্রতিটি গল্প হলে আলাদা আলাদা এবং সবগুলোর শেষটাও হবে ভিন্ন। প্রতিটি ফিল্মের জন্য একটি পরিপূর্ণ রেজোলিউশন থাকবে। আবার চারটি মিলে তৈরি হবে একটি বৃহত্তর মহাকাব্যিক কাহিনি।
অস্কার বিজয়ী পরিচালক জেমস ক্যামেরন বলেন, চলচ্চিত্রটির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। আমাদের ভিজ্যুয়াল এফেক্টগুলো খুবই উচ্চ পর্যায়ের।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ‘মার্ভেল’স অ্যাভেঞ্জার্স: অ্যান্ডগেম’ এসে সিংহাসনচ্যুত করে অ্যাভাটারকে। কিন্তু সেই তকমা আবার ফিরে পায় অ্যাভাটার। দুটি চলচ্চিত্রের স্বত্বাধিকার ওয়াল্ট ডিজনি। সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা আরেক সিনেমা টাইটানিকও এই একই প্রতিষ্ঠানের।
অ্যাভাটারের পটভূমি একদল লোভী মানুষ আর নিরীহ প্যানডোরাবাসির মধ্যে এক অসম কিন্তু সাহসি যুদ্ধ নিয়ে। কাহিনির সূত্রপাত ২১৫৪ সালে, যখন আর.ডি.এ আনঅবটেনিয়ামের খোঁজে প্যানডোরা নামক পৃথিবীর মতো এক গ্রহে গিয়ে মানুষ হাজির হয়। যার আবহাওয়া মানুষের নিশ্বাস উপযোগী নয়।
এই গ্রহের অধিবাসীদের বলা হয় নাভি। নাভিরা তাদের গ্রহে খুব আনন্দেই বসবাস করছিল যতদিন পর্যন্ত না মানুষের অসাধু ইচ্ছা প্রকাশিত না হয়। নাভিদের পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানার জন্য বিজ্ঞানীরা নাভিদের মতো দেখতে কিছু দেহ তৈরি করলেন, যা কি না যন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।