আনুলিয়ায় প্রকাশ্যে চলছে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে প্রকাশ্যে লোকালয়ের ভ‚গর্ভের বালি ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে উত্তোলন করা হলেও দেখার কেউ নেই। ফলে এলাকার ভ‚গর্ভের পরিবেশ হুমকী মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।
সরকারি ভাবে ভ‚গর্ভের বালি মেশিনের সাহার্যে উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাছাড়া জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে সক্রিয় থাকলেও কি ভাবে প্রকাশ্যে সড়কের পাশে ভ‚গর্ভের বালু উত্তোলন করা হয় তা ভাবতে হতবাগ হতে হয়। বালু উত্তোলনের জন্য একটি চক্র ড্রেজার মেশিন কিনে বহাল তবিয়তে অবৈধ কারবার চালিয়ে আসছে। এদেরই একজন শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালী গ্রামের আনারুল হক গাজীর ছেলে ফারুক হোসেন। ফারুক উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে দাপটের সাথে ভ‚গর্ভের বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে।
রাজকীয় পরিবেশে প্রশাসনের নাকের ডগায় এবং বিশেষ করে প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের তদারকির দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) দের বুকের উপর থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আনুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে প্রধান সড়কের উপর দিয়ে বালু সরবরাহ পাইপ পার করিয়ে সড়কের পাশে কয়েকটি দোকানে পবিত্র রমজান মাসে বালু উত্তোলন করে ভরাট করা হয়েছে। ড্রেজার মেশিন মালিক ফারুক এ কাজ করেন।
ঈদ উল ফিতরের পর গত ৪ দিন ধরে একই ব্যক্তি ভ‚মি অফিসের সামনে বিছট নিউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছনে প্রকাশ্যে ভ‚গর্ভের বালু উত্তোলন করে জমি ভরাট করা হচ্ছে। এহেন অনিয়ম, অন্যায় ও সরকারি নির্দেশ অমান্যের ঘটনা কিভাবে বহাল তবিয়তে চলে আসছে এ প্রশ্নের জাবাব পাওয়া মুশকিল।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমানের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি জানান, এব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) শাহীন সুলতানার সাথে কথা বললে তিনি জানান, এখনই ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।