ঈদে চমেক-জেনারেল হাসপাতালের রোগীরা পাবেন বিশেষ খাবার
নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা গেল দুই বছর ঈদের চেয়ে এবার তুলনামূলক কম। করোনার প্রকোপ কমে আসায় কমেছে এ সংখ্যা। তবে ভর্তি রয়েছেন কিছু ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী।
বিশেষ করে ঈদের এ সময়ে খুব জরুরি বা গুরুতর না হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে চান না কেউ। তাই হাসপাতালে থাকা রোগীদের ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে প্রতিবারের মতো এবারো বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবারের আয়োজনে চমেক হাসপাতালের রোগীরা জনপ্রতি ২শ’ ও জেনারেল হাসপাতালের রোগীরা ১৭৫ টাকার খাবার পাবেন।
চমেক সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য সময়ের চেয়ে ঈদে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম থাকে। এবারের ঈদে এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন প্রায় দুই হাজার জন। ঈদের দিন বিশেষ খাবার হিসেবে পোলাও, মুরগির মাংস, রোস্ট-রেজালা, মিস্টি, সেমাই, ডিম, ফল ও সালাদ পাবেন তারা।
জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি রয়েছেন অর্ধশতাধিক। ঈদের দিন সকালে পাউরুটি, কলা, দুধ, ডিম, বিস্কুট ও সেমাই এবং দুপুরে পোলাও, মুরগির রোস্ট-রেজালা, ডিমের কোরমা ও ফল পাবেন তারা। এছাড়া রাতে পাবেন স্বাভাবিক খাবার। রোস্টার অনুযায়ী সাদা ভাত অথবা পোলাও, সবজি, ডাল, মাছ ও মুরগির মাংস পাবেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের দিন রোগীদের জন্য খাবার বাবদ ২শ’ টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের পোলাও, মুরগির রোস্ট-রেজালা, ডিম এসব খাবার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সাধারণত অন্যান্য সময়ের চেয়ে ঈদের সময় হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে কম। যারা ভর্তি রয়েছেন, সবাই এ বিশেষ খাবার পাবেন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সাধারণত রোগীদের খাবারের জন্য বরাদ্দ থাকে ১২৫ টাকা। ঈদের সময় সেটি ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এবারো সে অনুযায়ী ঈদের দিন বিশেষ খাবার পাবেন রোগীরা।
ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আরো বলেন, ঈদ উপলক্ষে হাসপাতালের আউটডোরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঈদের পর ৫ মে থেকে যথারীতি আউটডোর খোলা থাকবে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে রোস্টার অনুযায়ী কিছু ডাক্তার, নার্স ও স্টাফ বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন। তারা সবাই যে যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।