স্বেচ্ছায় নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৬
নিজস্ব প্রতিনিধি :
গত ৭ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মোঃ রফিক হোসেন পল (৩২), পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাং-সোনাডাঙ্গা, রোড-১৪, বাড়ি নং-৩৩, থানা-সোনাডাঙ্গা, জেলা-খুলনা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যান এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ হিসেবে জিডি করা হয় ও বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হন। কিন্তু কোন প্রকার আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ায় উল্লেখিত ব্যক্তিকে গুম করা হয়েছে বা অপহরণ করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালায়। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম করার বিভিন্ন অপপ্রচার প্রতিরোধে এবং বিষয়সমূহ খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে বিভিন্ন নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল।
এরই অংশ হিসেবে আভিযানিক দলটি গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজ ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করে গত ২৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখ সাড়ে ৪টার সময় কক্সবাজার শাহিন বীচ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যাওয়া মোঃ রফিক হোসেন পলকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। জানা যায় যে, উক্ত স্বেচ্ছায় নিখোঁজ ব্যক্তি করোনা পূর্ববর্তী সময় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। করোনার কারণে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে চাকুরী হারানোয় এবং পারিবারিক চাপের কারণে হতাশা থেকে মুক্তির জন্য তিনি স্বেচ্ছায় আত্নগোপন করেন।
আত্নগোপনে থাকাকালীন তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন। এ সময় তিনি প্রথমে ঢাকায় ৭ মাস মাস্ক বিক্রয় করেন এবং এরপর ঢাকা সদরঘাটে ৩ মাস হকার হিসেবে খেলনা বিক্রয় করেন। সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জে ৯ দিন হকারী করেন পরে নারায়নগঞ্জে ৫ মাস টোকাই হিসেবে পুরাতন বোতল ও লোহা কুড়িয়ে বিক্রয় করেন। সর্বশেষে কক্সবাজার শাহিন বীচের ইউনুসের চায়ের টং দোকানে মাসিক ৯ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করেন।
একজন ব্যক্তি নিখোঁজ হলেই যে তাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে এই ধারণাটি সঠিক নয়। নিজস্ব বিবেক, বুদ্ধিমত্তা ও বিশেষ সচেতনতায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে এড়িয়ে চলা সম্ভব। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৬।