প্রেমের বিয়ে, বছর না যেতেই লাশ হলেন সুমী

নিউজ ডেস্ক:

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সুমী আকতার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বালিপাড়া ইউপির ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর স্বামী হৃদয় হাওলাদার ও শাশুড়ি জেসমিন বেগমকে আটক করেছে পুলিশ ।

 নিহত সুমীর নানা সাকায়েত ফরাজী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় হত্যার লিখিত অভিযোগ করেন।

সুমীর নানা জানান, উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার ও একই গ্রামের প্রবাসী সাহিদা বেগমের মেয়ে সুমী আকতারের প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সংসারে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কলহ চলছিল। সুমীকে তার মায়ের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কেনার টাকা আনতে বলেন শাশুড়ি। টাকা না আনায় তাকে তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন। নির্যাতনের ফলে মারা যান সুমী। পরে বিষ খেয়েছে বলে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমীকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন মরদেহ নিয়ে তারা দ্রুত বাড়িতে আসেন।

সুমীর মামা মনির হোসেন বলেন, আমার ভাগনিকে টাকার জন্য তার স্বামী ও পরিবারের লোকেরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।

সুমীর শ্বশুর ফারুক হাওলাদার বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য হলে ঘরে থাকা চাউলের বিষের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমী।’

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। মৃত্যু নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)