ডেনমার্কের রাজকুমারীর আগমন উপলক্ষে সাতক্ষীরা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসনের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে সর্বত্র। সবার মধ্যে উৎসাহ ও প্রস্তুতি লক্ষ্যণীয়। ২৭এপ্রিল, সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরার পূণ্যভূমিতে পা রাখবেন ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন।
কিন্তু অতিথিকে স্বাগত জানানোর তর সইছেনা কুলতলী গ্রামের কিশোরী ময়না’র। সাতক্ষীরার তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে হ্যালিকপ্টারযোগে নামবেন, যাবেন উপকুলবাসীর সাথে সময় কাটাতে খাবেন স্থানীয় একটি রিসোর্টে, ঘুরবেন ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে। তবে অতিথি’র নিরপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে কোন সংবাদই সরকারের বিটিভি ও পিআইডি ছাড়া কেউ সংগ্রহ করতে পারবে না।
তবে মুন্সিগঞ্জের নিলীমা রাণী বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রীয় অতিথি’র নিরপত্তার জন্য উপকুলের সাধারণ মানুষ সেখানে দেখতে যেতেও পারবেন না। সেহেতু দেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমগুলোতে লাইভ দেখানোর জন্যও অনুরোধ এলাকার মানুষের। বেসরারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান লিডার্সের নির্বাহী প্রধান মোহন কুমার মন্ডল বলেন, উপকুলের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো কাজও দেখবেন এজন্য উপকুলের সাধারণ মানুষের সাথে এনজিওরাও স্বাগত জানাচ্ছে অতিথিকে।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম মৃধা বলেন, উপকুলবাসীর সাথে জনপ্রতিনিধিরাও অতিথিকে বরণ করতে অধীর অপেক্ষায় আছে। তারা অনুষ্ঠান সফল করতে সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনীর স্টেশন অফিসার নুরুল আমিন বলেন, এসফরের জন্য সর্বত্র নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে বন উপকুল সর্বত্র। অতিথির জন্য নির্মিত হচ্ছে নতুন হেলিপ্যাড। উপকুলবাসী অকৃত্রিম স্বাগত জানাতে তাদের কাঁচাগৃহকে কাঁদাপানিতে দিচ্ছে লেপে। রাস্তা করছে সংস্কার, যাতে অতিথির পথ চলতে না হয় কষ্ট। আর নিরাপত্তায় জড়িত সব প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হয়েছে তারা পাহারা দিচ্ছে পানিতে, জঙ্গলে, ঘরেবাড়িতে। এ ক’দিন নিষেধাজ্ঞা নয় অতিথি’র নিরপত্তার স্বার্থে সুন্দরবনে ঢুকতে পারবে না সাধারণ পর্যটকরা। মাছধরা জেলেদেরও অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সবকিছুকে ছাপিয়ে উপকুলবাসীর যার সাথে কথা বলা হচ্ছে তিনিই বলছেন ডেনমার্ক সরকার ও বাংলাদেশ সরকার যেহেতু সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকুল বেছে নিয়েছেন সেজন্য এলাকাবাসী ধন্য।
এদিকে পুরো প্রস্তুতির কথা জানালেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, নিরাপত্তার জন্য সরকারের প্রায় গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান এখান সাতক্ষীরা উপকুলে। তারা এবং জেলা প্রশাসন অতিথি’র সব আয়োজন সফল করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি জানান, বুধবার-ই সুন্দরবন ভ্রমণ সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে ডেনমার্কের রাজকুমারী রওয়ানা দেবেন ঢাকার উদ্দেশ্যে।