ধানক্ষেতে গৃহবধূর হাত-পা-মুখ বাঁধা লাশ
অনলাইন ডেস্ক: কুমিল্লায় ধানক্ষেত থেকে ফারজানা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর হাত-পা-মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে স্বামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তফাপুর এলাকার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের একটি ধানি জমি তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারজানা একই উপজেলার অলিপুর গ্রামের মাদকসেবী ইকবালের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী আলেখারচর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
পুলিশের ধারণা পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ফারজানার লাশ এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। তাকে হত্যার পর নিহতের স্বামী ইকবাল শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে লাশের সন্ধান দিয়ে পালিয়ে গেছে।
এদিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত ফারজানার চাচা হাফিজুল ইসলাম জানান, ফারজানার স্বামী ইকবাল হোসেন বাবার বাড়ি থেকে নেশার টাকা এনে দেওয়ার জন্য প্রায়ই তাকে মারধর করত। তাই পরিবারের সবাই মিলে তাকে মাদক নিরাময় সেন্টারে ভর্তি করে দেয়।
৩ দিন আগে ইকবাল মাদক নিরাময় সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি আলেখারচর থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার সঙ্গে মেয়েকে দিতে না চাইলেও কৌশলে সে ভালো আচরণ করে নিয়ে আসে। পরে রোববার সকালে সে শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানায় ফারজানাকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রেখেছে।
খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ তার স্বজনরা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউল ইসলাম বলেন, লাশের মাথায় বড় বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার হাত ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা, আর মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।