গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে: এবি পার্টি
অনলাইন ডেস্ক: গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
দলটির নেতারা বলেন, বর্তমান সরকারকে সরে যেতে হবে, নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং নির্বাচনে বিজয়ী দলকে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করতে হবে। এই তিন মৌলিক পয়েন্ট হবে বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে এবি মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ, পন্থা এবং পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক মুক্ত সংলাপে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। এতে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু’র সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য দেন- অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, গৌতম দাস, অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ড. সুকোমল বড়ুয়া, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, নাগরিক ভাবনার হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. শহীদ মঞ্জু, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলাউদ্দিন মল্লিক, এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আশরাফুল হক, এবি পার্টির অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, এবিএম খালিদ হাসান, ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, গণ-আজাদী লীগের আতা উল্লাহ খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুজ্জামান ফিরোজ, মানবিক বিশ্ব গড়ার শরীফ সাকি, ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির মোমেনা খাতুন, রেইনবো ফাউন্ডেশনের নাজমুল হক প্রমুখ। মুক্ত সংলাপ শেষে বিজয় একাত্তর চত্বরে গণ ইফতারের আয়োজন করা হয়।
ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনের পথ ও পন্থা নিয়ে আলোচনার শুরুতেই আমাদের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ভাবতে হবে। একটি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কোনভাবেই আর গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। গণ-আন্দোলন ব্যতীত এই সরকারের পতন সম্ভব হবে বলে মনে হয়না। কাজেই বিরোধী দল গুলোকে ঐক্যমতে আসতে হবে সরকারের পতন আন্দোলনের ব্যাপারে।
ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, সব দলই এই সরকারের পতনের ব্যাপারে একমত। কিন্তু কার নেতৃত্বে আন্দোলন হবে, নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে এবং সবাই একজোট হয়ে আন্দোলন করার ব্যাপারে একত্রিত হওয়া কঠিন ব্যাপার। আমাদের সমাজ একটি বিভাজিত সমাজ। সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দুর্বৃত্তে ঘিরে আছে সব রাজনৈতিক দল। কাজেই শুধু একটি নির্বাচনই সমস্যার সমাধান নয়।
তিনি বলেন, একটি যুগপৎ আন্দোলনের রুপরেখা তৈরি করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একেক পক্ষ একেক রকম চিন্তায় রয়েছে। যে যে চিন্তায়ই থাকুক নূন্যতম বিষয়ে আমাদের একমত হতে হবে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হতে হবে এবং এই সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমান সরকারকে হটিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। যার মেয়াদ ৩/৪ মাস হলে হবে না। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক প্রশাসনকে হটিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন থাকবে, যারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে।