আশার আলো দেখাচ্ছে যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের কপোতাক্ষ নদ খননের কাজ
স্টাফ রিপোর্টার :
দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে যশোরের কেশবপুরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী কপোতাক্ষ নদের দুই পাড়ের মানুষ। ২০০০ সালের ভয়াবহ বন্যার পর থেকে প্রতি বছর এই অঞ্চল কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানিতে বছরের অধিকাংশ সময় পানির নীচে তলিয়ে থাকতো।
এর মুল কারন ছিল পলি জমে নদী ভরাট হয়ে জোয়ারভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়া। কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই নদ খনন করে জোয়ারভাটা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় “কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর কাজ শুরু হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সম্পুর্ন জিওবি অনুদানে ৫৩১কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কপোতাক্ষ নদের ৭৯ কিঃমিঃ খনন কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ঝিকরগাছা অংশে বাজারের ব্রিজের পূর্বে এক কিঃমিঃ এবং ব্রিজের পশ্চিমে চার কিঃমিঃ খনন কাজ করছে ঢাকার লুনা এন্টারপ্রাইজ।
লুনা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী জনাব শরিফুল ইসলাম এবং লুৎফর রহমান বলেন, আমরা যে ৫ কিঃমিঃ খনন কাজের আদেশ পেয়েছি সেখানে কোনো অনিয়ম হবেনা।যথাসময়ে আমরা সরকারের শিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করার চেষ্টা করবো। এজন্য তারা স্হানীয় জনগন এবং সংবাদকর্মীদের সহায়তা কামনা করেন। সরজমিন পরিদর্শনে যেয়ে দেখা যায় কৃষ্ণনগর মালো পাড়ার নীচে ৫টি এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে নদের মাটি খননের কাজ চলছে।
স্হানীয় বাসিন্দা খায়রুল বলেন, নদীতে আবার প্রান ফিরে আসবে এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। নদীতে মাছ শিকারী শংকর জানান, নদীতে পানি না থাকায় আমরা দীর্ঘদিন কাংখিত মাছ পায়নি, এবার নদী কাটলে মাছের খরা কেটে যাবে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পে কাজ শেষ হবে।
যশোর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তাওহিদুল ইসলাম জানান, নদীতে পানি বেশি থাকায় কাজ শুরু করতে কিছুটা সময় লেগে গিয়েছে তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে আমরা আশাবাদী। নদ কতটুকু চওড়া হবে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান কপোতাক্ষ নদের সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খনন কাজ হবে। অবৈধ দখলদারদের ব্যাপারে তিনি জানান, নদের জমি দখল করে রাখার কোনো সুযোগ নেই, আমরা কপোতাক্ষ নদকে অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন কাজ শেষ করবো।
Please follow and like us: