২১ এপ্রিল সাতক্ষীরা গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্বরণসভা সভা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
২১ এপ্রিল সাতক্ষীরা গণহত্রা দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ভারতে গমনকারি ৩৩৫জন নারী , পুরুষ ও শিশুকে গুলি করে ও ব্যায়নট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে খান সেনা ও তাদের সহযোগী এদেশীয় রাজাকাররা। নিহতদের লাশসহ অনেককে জীবন্ত অবস্থায় বিদ্যালয়ের পিছনে দীনেশ কর্মকারের ডোবায় ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়। একই দিনে শহরের রেজিষ্ট্রি অফিস পাড়ায় কাজী ক্যাপ্টেনকে বোমা হামলা করে ও সাহাপাড়ার দু’ ব্যবসায়িকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এ ছাড়া এই দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্পক্ষের বহু মানুষের ঘরবাড়িতে লুটপাট চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ ১৪ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষতায় রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহম্মেদ রবি ১৪ বছর সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও সাতক্ষীরা সদরের কোন বধ্যভূমি সংরক্ষিত হয়নি।
এমনকি ওইসব স্থানে কোন স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি। অথচ তালা, কলারোয়া, শ্যামনগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বধ্যভূমি সংরক্ষিত হয়েছে। নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ। সাতক্ষীরা সদরসহ জেলার যেসব স্থানে বধ্যভূমি সংরক্ষিত হয়নি ওইসব স্থানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে হবে। যুদ্ধারাধীদের বিচারের পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে।
বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে দীনেশ কর্মকারের জমিতে থাকা বধ্যভূমিতে আয়োজিত সাতক্ষীরা গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক স্বরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
’৭১ এর বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষন কমিটি আয়োজিত সংগঠণের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, ’৭১ এর বধ্যভূমিস্মৃতি সংরক্ষন কমিটির সদস্য সচীব অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, জজ কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি, জাসদ নেতা প্রবাষক ইদ্রিস আলী, ওবায়দুস সুলতান বাবলু,বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, উদিচি শিল্পগোষ্ঠীর সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সিপিবি নেতা কমঃ আবুল হোসেন, আজমীরা খাতুন প্রমুখ।
সভা শুরুর আগেই সাতক্ষীরা গণহত্যা দিবসে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।