হত্যা না কি আত্নহত্যা?শ্যামনগরে শ্বশুরবাড়ীর পরিত্যক্ত রান্না ঘর থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Post Views:
১,২০৪
আশিকুজ্জামান লিমনঃ
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর গাংআটি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত রান্না ঘর থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২১ এপ্রিল ২০২২ তারিখ সকালে শ্যামনগর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শাহাবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছেন।
নিহত জামাইয়ের নাম আসাদুজ্জামান তাছের (২৫)। সে একই এলাকার জয়নগর গ্রামের নুর হোসেন গাজীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী গাংআটি গ্রামের মৃত সুরাত আলী সরদারের মেয়ে মারুফা খাতুন (২৩) জানান, নিজেদের মধ্যে সাংসারিক ঝামেলার দ্বন্দ্বের জেরে গত ৪ মাস আগে তার স্বামী তাকে মৌখিক ভাবে তালাক দেয়। এরপরে গত সপ্তাহে সে নিজেই তাকে তালাকনামা পাঠায়। আর আজ সকালে পার্শ্ববর্তী তার বড় বোনের রান্না ঘরের মধ্যে তার ঝুলন্ত অবস্থায় আছে বলে তার বড় বোন তাকে খবর দেয়।
নিহত আসাদুজ্জামান তাছেরের বড় শালিকা ছকিনা খাতুন জানান, আজ সকালে সূর্য ওঠার সময় আমি আমার পরিত্যক্ত রান্না ঘরটি গোছাতে গেলে ঘরের মধ্যে একজন কে ঝুলে থাকতে দেখে হাওমাও করে বাহিরে এসে ডাকচিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে গেছে।
নিহতের বোন খাদিজা ও নিহতের মামী রহিমা খাতুন জানান, আসাদুজ্জামান তাছের কে তারা জোর করে স্বামী পরিত্যক্তা গর্ভবতী অবস্থায় থাকা মারুফা বেগমের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়। এরপর থেকে তারা আসাদুজ্জামান তাছের কে বিভিন্ন সময়ে মারপিট সহ নানান ভাবে শারিরীক নির্যাতন করত । ওরা তাছের কে মেরে ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ওরা আসাদুজ্জামান তাছের কে প্রায় সময় মারপিট করত। লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না যে এটা আত্মহত্যা! কারন আত্মহত্যা ঘটার মত কোন নমুনা লাশের দেহে নেই।
নিহতের পিতা নুর হোসেন গাজী জানান, গত কয়েক দিন আগে আমার ছেলেকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারপিট করে তার ফোন ও টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে বাড়িতে পাঠায় দেয়। পরে গতকাল সেই ফোন আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। আজকে শুনতে পাচ্ছি যে আমার ছেলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার ছেলেকে ওরা জোর করে ওখানে এক থেকে দের বছর আগে বিয়ে দিয়েছিল। আমার ছেলেকে ওরা হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কারন আমার ছেলের পা দুটি মাটি স্পর্শ করেছিল।
শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ মুঠোফোনে জানান লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। নিহতের পরিবারের দাবি এটি হত্যা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ আসেনি।এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ৷