বুধহাটায় জমির ধান কাটতে নিষেধ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১
জি এম মুজিবুর রহমান:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় রবিউল ইসলামদের চাষাবাদকৃত জমির পাঁকা ধান জোরপূর্বক কাটতে নিষেধ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় একজন আহত হয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯.৩০ টার দিকে নওয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানাগেছে নওয়াপাড়া গ্রামের গোলাপ রহমান সরদার নওয়াপাড়া মৌজায় এসএ ৫ ও ২২৩ নং খতিয়ানে ৭৪ নং দাগে ৩৯, ৯ নং দাগে ২১ শতক মোট ৬০ শতক জমি বুধহাটা গ্রামের অম্বিকা নাথের ওয়ারেশ গৌতম, সঞ্জয়, রামকৃষ্ণ, জয়নারায়ন ও সৌমেনের নিকট থেকে আমমোক্তার নামা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন। জমি সরকারি খাস সম্পত্তিভুক্ত হওয়ায় বিজ্ঞ এডিসি আদালতে মিস কেচ ১০৬/২০০৮ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ৯২/ক ধারামতে ৩০/৬/০৯ তাং জমি অবমুক্ত ঘোষণা করেন।
আদেশের পর গোলাপ রহমান মিউটিশান শেষে ১৯/১২/২০০৯ তাং রেজিষ্ট্রি কোবালা দলিল মূলে (দলিল নং ৪৪১৮) রফিকুল ইসলাম দিং এর কাছে হস্তান্তর করেন। তারাও তাদের নামে মিউটিশান ও চেকদাখিলা রাজস্ব আদায় করে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছেন। চলতি বোরো মৌসুমে তারা জমিতে ধান চাষ করেন। বুধবার জমির মালিক পক্ষ মেম্বার রবিউল ইসলাম জরুরী মামলায় সাতক্ষীরা আদালতে থাকার সুযোগে দিপক কুমার সরকার, দিপংকর সরকার, রেজাউল, হযরত, শওকত, মুনছুর সহ সহযোগিরা উক্ত জমিতে অবৈধ প্রবেশ করে ধান কর্তন করতে থাকে। জানতে পেরে রবিউলের চাচাত ভাই আতিকুল ঘটনাস্থলে পৌছে ধান কাটতে নিশেষ করলে তাকে দিপক কাচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে তার পায়ের আঙ্গুল কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে দ্রæত আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলুকে জানালে তিনি থানা পুলিশের সহায়তা নিতে বললে পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ধান জব্দ করেন। প্রতিপক্ষরা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।