তালার মাছের ঘের পরিচালনায় অবৈধ বাধা প্রদানের প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন
শহর প্রতিনিধি:
কতিপয় অসাধু ব্যক্তির ইন্ধনে সাতক্ষীরার তালার বারাত-ভবানীপুর মাছের ঘের পরিচালনায় অবৈধ বাধা প্রদানের প্রতিকার চেয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, বরাত-ভবানীপুর বিল কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনছার আলী।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বারাত-ভাবানীপুর এলাকায় প্রায় ২ হাজার জমির মালিকের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর যাবত শান্তিপূর্ণভাবে মাছের ঘের পরিচালনা করে আসছেন যশোর জেলার কেশবপুর এলাকার মুস্তাক আহম্মেদ। তিনি অত্যান্ত সুনামের সাথে ঘের পরিচালনা করায় পূর্বের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমরা বিল কমিটির নেতৃবৃন্দসহ এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ ও সাধারণ জমির মালিকগন পুনরায় ১৪২৯ সালের ১ বৈশাখ থেকে আগামী ১৪৩৩ সালের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য নতুন করে ইজারা প্রদান করি। কিন্তু অত্র এলাকার কতিপয় লোকজন ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ঘের মালিক মুস্তাক আহম্মেদকে ক্ষতিগ্রস্থ করার চক্রান্ত শুরু করেছেন। এ লক্ষ্যে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমারকে ভুল তথ্য প্রদান করেন। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শ্বশুরবাড়ি তালা থানায় হওয়াতে ব্যক্তিগত উৎসাহী হয়ে স্বল্প সংখ্যাক জমির মালিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৬ এপ্রিল তালা উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে সভা ডাকেন। সেখানে ঘের মালিক মুস্তাক আহমেদউপস্থিত হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুস্তাক আহমেদকে হেনোস্তা করেন এবং উল্টোপাল্টা কথাবার্তা বলে আগামী এ সপ্তাহের মধ্যে ঘেরের চারা মাছসহ সমূদয় মালামাল উঠায়া নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। অথচ উক্ত ঘেরে জমি দাতা প্রায় ২ হাজার জমির মালিকরা সকলেই চান মুস্তাক আহম্মেদ ঘের পরিচালনা করুক। স্থানীয় কুচক্রী মহলের ইন্ধনে মাত্র কয়েকজন জমির মালিকের কথায় ব্যক্তিগত স্বার্থে স্বজন প্রীতির কারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রায় দুই হাজার জমির মালিকের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে শুধু মাত্র তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের কারনে তিনি মুস্তাক আহম্মেদকে
বিতাড়িত করার চেষ্টা করছেন।
তিনি আরো বলেন, মুস্তাক আহম্মেদকে উচ্ছেদ করা হলে অধিকাংশ জমির মালিকগণ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার প্রতিপক্ষের কোন বক্তব্য না শুনে এক পক্ষের কথায় এধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এলাকাবাসী হতবাক হয়ে পড়েছেন। গুটি কয়েক অভিযোগকারী তার আত্নীয় স্বজন হওয়ার কারনে তিনি সম্পূর্ণ অবৈধভাবেই উক্ত ঘের থেকে মুস্তাক আহমেদের ঘের পরিচালনায় অবৈধভাবে বাধা প্রদান করছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় উপজেলা নির্বাহি অফিসারসহ উক্ত চক্রান্তকারীদের হাত থেকে পরিত্রান পেয়ে সুষ্ঠ ভাবে মৎস্য চাষ পরিচালনা এবং স্থানীয় জমির মালিকদের স্বার্থে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন সে জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরাত-ভবানীপুর বিল কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরু পদ ঘোষসহ অন্যান্য জমির মালিকগণ।