সাতক্ষীরায় এক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলা

রঘুনাথ খাঁ:

২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলে ও তার লোকজনদের মারপিট করে বিতাড়িত করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরা সদরের শাঁখরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ও একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা শহরের মধ্যকাটিয়ার আব্দুর রহমানের ছেলে এসএম জুলফিক্কার আলী জিন্নাহ বাদি হয়ে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামীরা হলেন সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে স্বেচ্ছসেবক দলের নেতা ও চারটি নাশকতা মামলার আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম, বৈচানা গ্রামের আব্দুল বারির ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হাসানুজ্জামান বাবলু, তার ভাই মনিরুজ্জামান ও চৌবাড়িয়া গ্রামের নাজিম আলীর ছেলে মোজাহার আলী।

গত ১৭ এপ্রিল সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে দায়েরকৃত মামলা থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের খাঁখরা বাজারের পাশে বৈচানা মৌজায় বেশ কিছু জমি রয়েছে শহরের মধ্য কাটিয়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের। কয়েক বছর আগে তিনি ওই জমি থেকে কিছু জমি বিক্রি করেছেন। গত ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে আব্দুর রহমানের ছেলে এসএম জুলফিকার আলী জিন্নাহ বিক্রির জন্য পরিদর্শণে গেলে স্বেচ্ছাসবক দলের নেতা সাইফুল, হাসানুজ্জামান বাবলু, তার ভাই মনিরুজ্জামান বাবলু ও মাজাহার আলী তাকে জমি বিক্রি করতে হলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে।

দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় জিন্নহি এর কাছে থাকা বায়নাপত্র গহেণের দু’ লাখ টাকা কেড়ে নেয়। বাকী ১৮ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে জমিতে আসার সাধ মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে তাকে আবারো লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে চল যায় হামলাকারিরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় এসএম জুলফিকার আলী জিন্নাহ বাদি হয়ে হামলাকারি চারজনের নামে ১৭ এপ্রিল মামলা করলে মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশ পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবীর সোমবার মামলাটি রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। প্রসঙ্গত, চাচা আব্দুর রহমানের কাছ থেকে চেক এর মাধ্যমে ধার নেওয়া ১০ লাখ টাকা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফেরৎ না দেওয়ায় চাচার দায়েরকৃত প্রতারণার মামলায় ১০ এপ্রিল মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হাসানুজ্জামান বাবলুকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১২ এপ্রিল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস কেস করে হাসানুজ্জামান জামিনে মুক্তি পান। মামলা করায় চাচাত ভাইকে হুমকি ও জমি বিক্রি করতে হলে চাচাত ভাই এর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)