সাতক্ষীরায় নদী ও খাল পুন:খননে কোন দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা-এমপি রবি
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ :
সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী ও খাল পুন:খনন কাজে কোন অনিয়ন ও দুর্নীতি সহ্য করা হবেনা। রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের বিনেরপোতা এলাকায় বেতনা নদী ও খাল পুন:খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে পরিদর্শণে গিয়ে পুন:খনন কাজে অনিয়ম দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা -২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এখানে কিছু আর এক জায়গায় কিছু এভাবে খনন করা হচ্ছে। যা খুবই বিরক্তিকর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি ও তদারকী না থাকায় তিনি অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে সঠিক নিয়মে নদী ও খাল পুন:খননে অনিয়ম হলে চরম ভোগান্তীর শিকার হবে সাতক্ষীরার মানুষ। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪৭০ কোটি টাকা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বেতনা নদী ও খাল পুন:খননে যে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুসিয়ারী দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে নদী ও খাল পুন:খননে কোন দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।”
সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার ১,২,৬,৮ এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) এর নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ আওতায় ১৫.০০০ হতে কি:মি: ২৩.৫০০= ৮৫০০ মিটার বেতনা নদী রাজনগর হতে শাল্যে পর্যন্ত ২৯ কোটি ৪ লক্ষ ৩ হাজার টাকা ব্যয়ে বেতনা নদী পুন:খনন করা হচ্ছে। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবী শিডিউল অনুযায়ী বেতনা নদীর পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে খনন করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। দায়সারাভাবে কাদামাটি তুলে ট্রাক্টরে পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে শহরের রাস্তা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন খালের পানি না শুকিয়ে যেভাবে নদী খনন করছে, তা সাতক্ষীরাবাসীর কোনো কাজে আসবে না বলে জানান। সরেজমিনে বেতনা নদী খনন কাজ পরিদর্শণকালে দলীয় ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।