সাতক্ষীরায় তালাক দেওয়া ব্যাভিচারিনি স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাবেক স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধ:
তালাক দেওয়া ব্যাভিচারিনি স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাবেক স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামের মোনছোব গাজীর পুত্র মফিজুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আনুমানিক ১৪ বছর পূর্বে খুলনার কপিলমুনি শ্রীরামপুর গ্রামের পীর আলী সরদারের কন্যা রিক্তা খাতুনের সাথে পারিবারিকভাবে আমার বিবাহ হয়। আমার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত। জীবিকার তাগিদে কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হয় আমাকে। এমনকি জীবিকার জন্য ভারতে চলে যায়। বাড়ি ফিরে এসে শুনি আমার স্ত্রী রিক্তা খাতুন একমাত্র কন্যা সন্তানকে রেখে তার পরকিয়া প্রেমিকের সাথে চলে গেছে এবং
আমাকে তালাকের কাগজ পাঠিয়েছে। তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার কারনে আমি পুনরায় বিবাহ করে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে সংসার শুরু করি।

কিন্তু পরকিয়া প্রেমিকের কয়েকদিন পর রিক্তাকে বিবাহ করতে অস্বীকৃতি জানান। সে সময় মেয়েকে কৌশলে হাত করে জিম্মি করে এবং কন্যাকে স্বাক্ষী রেখে জীবনে এধরনের অপকর্ম করবে না মর্মে পবিত্র কোরআন শরীফ শপথ করে। তখন রিক্তা বলে কন্যা সন্তানের দিকে থাকিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দাও। আমি কন্যার কথা ভেবে তাকে তালাক দিয়ে পুনরায় রিক্তার সাথে কন্যাকে স্বাক্ষী রেখে মৌখিক বিবাহ করি। এর কয়েকমাস পর আমি ময়মনসিংহে কাজ করতে যায়। সেখানে গিয়ে কয়েকদিন পর রিক্তা তার পিতা অসুস্থ্য বলে ৫/৪/২০২২ তারিখে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি চলে আসে। এরপর থেকে মোবাইল নাম্বার বন্ধ রেখে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে কয়েকদিন পর জানতে পারি তালা উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের মৃত বদর উদ্দীন গাজীর পুত্র জিনারুল ইসলামের সাথে বিবাহ বর্হিভূতভাবে রাত কাটানোর অভিযোগে সামাদ শেখের বাড়ি থেকে ১১/৪/২২ তারিখে গ্রামবাসী আটক করে। দুই দিন সেখানে আটকানো ছিলো। তেতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বর মশিয়ার রহমান,তালা সদর
ইউনিয়ন পরিষদের মুড়াকলিয়া গ্রামের মেম্বর ইয়াছিনের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। আটকের দুইদিন পর ১৩/৪/২২ তারিখে বিবাহের কাবিননামা দেখিয়ে জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জের উপস্থিতিতে মুক্তি পায় তারা।

জিনারুল ইসলাম সম্পর্কে আমার খালু হয়। তেতুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত বিবাহ রেজিস্ট্রার মৌলবী নেছার উদ্দীন ১০/৪/২০২২ তারিখে তাদের বিবাহ পড়ান। বর্তমানে ওই খালুর সাথে আছে রিক্তা খাতুন। ওই জিনারুলের সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার বাড়ি থেকে সম্পত্তির দলিলপত্র, স্বর্ণের গহনাসহ নগদ দেড়লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায়। আমি বাড়ি ফিরে ঘরের মধ্যে রাখা দলিলপত্র, স্বর্ণের গহনা এবং টাকা কিছুই পানি। রিক্তা আমার সাথে সংসার কালানি সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে প্রেমের অভিনয় করে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতো। প্রকৃতপক্ষে এসবের প্রতিবাদ করায় তার সাথে বিরোধ বাধে আমার। কন্যাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার সুবাদে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের সাথে পরিচয় হলে তাদেরও ফাঁদে ফেলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে এবং টাকা দাবি করে। খেশরা ইউনিয়নের অন্তত ১০ জন
ব্যক্তির সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে রিক্তা তার পিতা পীর আলীসহ পরিবারের সদস্যরা। রিক্তার সকল অপকর্মের সহযোগিতা রিক্তার পিতা পীর আলিসহ তার পরিবার। ওই অর্থলোভী ব্যাভিচারিনি রিক্তার কারণে আজ আমি দিশেহারা অন্যদিকে খেশরা ইউনিয়নের দুই শিক্ষকসহ একাধিক ব্যক্তি সম্মান হারানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সমাজের কাছেও হয়েছেন লজ্জিত।

প্রথমে আমাকে তালাক দিয়ে অন্যের সাথে চলে গেল। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়েসুখে শান্তিতে সংসার করছিলাম। কিন্তু কন্যাকে জিম্মি করে ওই রিক্তা আমার সাথে পাইকগাছায় গিয়ে মৌখিক বিবাহ করল। দ্বিতীয় সংসার ভেঙে দিয়ে জমির দলিল, স্বর্ণাংলকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে আরেকজনের সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হল। এখন আমার কন্যাকে আটকে রেখে আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে যাচ্ছে রিক্তা এবং তার বর্তমান স্বামী জিনারুল ইসলাম। আমি
বর্তমানে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমার কন্যা অত্যান্ত মেধাবী তার বয়স ১২বছর। তিনি ওই ব্যাভিচারিনি রিক্তার কবল থেকে কন্যা সন্তান উদ্ধার এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)