সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে ৮ মাসে তিনবার কমিটি পরিবর্তন!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ কমিটি গঠন নিয়ে চলছে তুলকালাম কান্ড। গত আট মাসের ব্যবধানে সিঅ্যান্ডএফ কমিটি তিন বার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবারই কমিটি গঠন নিয়ে লাখ লাখ টাকার গোপন লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সোমবার শ্রম আদালতের নির্দেশনায় আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপনকে সরিয়ে মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে চার সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও গোপনে ২০ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সংসদ সদস্যের এই ঘোষনাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এটি রীট পিটিশন করেন সিঅ্যান্ড এফ সদস্য এজাজ আহমেদ স্বপন। এই রীটের প্রেক্ষিতে শ্রম আদালতের নির্দেশনায় গত ২০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে এজাজ আহমেদ স্বপনকে আহবায়ক এবং আশরাফুজ্জান আশু, মিজানুর রহমান, মাকসুদ খান ও রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীকে সদস্য করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও ২০ লাখ টাকা লেনদেনের খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে এজাজ আহমেদ স্বপন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে ব্যর্থ হন। ভোটার তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ৪৮ লাখ টাকার তহবিল তছরুপ, দূর্নীতি এবং সঠিক ভোটার তালিকা করে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়। এ ব্যাপারে শ্রম আদালতে অভিযোগ করা হয়। শ্রম আদালত এজাজ আহমেদ স্বপনকে ২৩ মার্চ এক চিঠিতে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারন নির্বাচনের নির্দেশনা দেয়। তা সত্তে¡ও গত ২৯ মার্চ আহবায়ক কমিটির ৪ সদস্য এক বৈঠকে বসে এজাজ আহমেদ স্বপনকে অপসারন করে এবং শ্রম আদালতের নির্দেশনায় মিজানুর রহমানকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় গত ১১ এপ্রিল। এজাজ আহমেদ স্বপন অভিযোগ করে বলেন এ ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকার গোপন লেনদেন হয়েছে।
এদিকে ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের বারবার কমিটি পরিবর্তন নিয়ে সাধারন সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলছেন, প্রতিবারই এই কমিটি গঠন নিয়ে চলছে টাকার খেলা।
সিঅ্যান্ডএফ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ সিঅ্যান্ডএফ সদস্যদের এক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার কথা থাকলেও সাধারন সদস্যদের মতামতকে পাশ কাটিয়ে একটিমাত্র প্যানেল খাড়া করা হয়। এই সাধারন সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সদস্য কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজুকে সভাপতি ও মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমকে সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করে কমিটি গঠন করে দেন। এসময় অভিযোগ ওঠে দেড় কোটি টাকা লেনদেনের।