সেচ্ছাসেবক লীগের পদ পেতে আ’লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নিলীপ কুমার মল্লিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিতর্কিত ছাত্র সংসদের সাবেক নেতা মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য’র বিরুদ্ধে। গত শনিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, ১৯৯২-৯৩ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের আমান উল্লাহ্ আমান ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছাত্র সংসদ কমিটির বহিরাঙ্গন ক্রীড়া বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য।

তারপর থেকে বি.এন.পি-জামাতের সাথে আগুন সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ে মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু, বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকে খোলস পাল্টে নিজেকে সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ভাবতে শুরু করেছেন ওই বিতর্কিত ছাত্র সংসদের নেতা। যেটা নিয়ে স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় মৃত্যুঞ্জয়ের। ঘটনার এক পর্যায়ে শনিবার সকালে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নিলীপ কুমার মল্লিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মৃত্যুঞ্জয়। এর একপর্যায়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিলীপ কুমার মল্লিককে একলা পেয়ে ব্রহ্মরাজপুর বাজারের জনৈক বারির দোকানের সামনে বেধড়কভাবে ভাবে মারপিট করে আটকিয়ে রাখে মৃত্যুঞ্জয়। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ মৃত্যুঞ্জয়ের কবল থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় নিলীপ কুমার মল্লিককে উদ্ধার করেন বলে জানান স্থানীয়রা।

এব্যাপারে ভূক্তভোগী নিলীপ কুমার মল্লিক বলেন, ‘তিন দফায় আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সুযোগে ইউনিয়নের অনেক জামাত-শিবির ও বি.এন.পির সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ফায়দা আদায়ের জন্য খোলস পাল্টে আওয়ামীলীগে নাম লেখানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যাদের ভিতরে অন্যতম ব্রহ্মরাজপুরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য। একটা সময় ছিল যখন মৃত্যুঞ্জয়ের ভয়ে পালিয়ে থাকতো সরকার দলীয় নেতারা। অথচ খোলস পাল্টে সে এখন আওয়ামীলীগের অন্যতম অঙ্গ সংগঠন সেচ্ছাসেবকলীগের পদ-পদবী পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে রয়েছি তারা বরাবরি মৃত্যুঞ্জয়ের বিরোধিতা করে এসেছি। যাতে একজন বি.এন.পির অন্যতম সন্ত্রাসী সেচ্ছাসেবক লীগের পদে আসতে না পারে। আর একারনে মৃত্যুঞ্জয় বিভিন্ন সময় আমাকেসহ সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকী-ধামকি দিয়ে আসতো যাতে আমরা তার বিরোধিতা না করি। তবে আমরা তার কথামতো না চলায় সে আমার উপরে অতর্কিত হামলা করেছে। ইতিমধ্যে বিষয়টা মৌখিকভাবে সরকার দলীয় নেতাদের অবগত করেছি। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটা মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বলেন, ‘ঘটনাটি জানা মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)