শ্যামনগরে রেশন কার্ডের চাল কিনতে হচ্ছে ৪০০ টাকায়ঃ ফিরে যাচ্ছে দরিদ্ররা
Post Views:
৩৭০
শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগরে রেশন কার্ডের ৩০ কেজি চাল নিতে দিতে হচ্ছে ৪ শত টাকা। এর আগে ৩শত টাকা দিয়ে ৩০ কেজি চাল নিত হতদরিদ্র গরীব মানুষ।
মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে ৪ হাজারের মত হতদরিদ্রেদের রেশন কার্ড আছে। সরাজমিনে দেখাযায় মুন্সীগঞ্জ হরিনগর চালের ডিলার সিরাজুল ইসলাম ও আনান্দ কর্মকার প্রতিটি গ্রহকের কাছ থেকে ৪শত টাকা নিয়ে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছে ।অনেকেই জানে না ৪ শত টাকা দিয়ে ৩০ কেজি চাল নিতে হবে।তাই তার চাল না নিয়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়ি।১ শত টাকা বেশি নিচ্ছে এর কোন রিসির্ভ দেওয়াও হচ্ছে না।মথুরাপুর গ্রামের তাসলিমা খাতুন চাল নিতে এসে জানান, বাড়ি থেকে চাউল নেওয়ার জন্য ৩শত টাকা নিয়ে আসলাম কিন্তু এসে দেখি ৪শত টাকা না দিলে চাউল দিচ্ছে না। চকিদারি ট্যাস্ক ১ শত টাকা করে দিয়ে তার পর চাল নিতে হবে।আমার বাড়ি থেকে চকিদার যেয়ে ট্যাক্স নিয়ে এসেছে। সুন্দরবন থেকে আসা আমেনা খাতুন (৪৫) বলেন, আমি খুব গরীব মানুষ ৩শত টাকা নিয়ে চাউল নিতে এসে দেখি ৪শত টাকা না দিলে চাউল দিবে না।চাল নিয়ে রান্না করে খাবো।এর আগে আমরা ৩শত টাকা দিয়ে চাউল নিতাম। নুরইসলাম বলেন, দেশে যে কি হচ্ছে ৩শত টাকার চাউল ৪শত টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে এর আগে চকিদারি ট্যাক্স দিতে হয়নি হঠাৎ আজ চকিদারি ট্যাক্স দিয়ে চাউল নিতে হচ্ছে।শরিফুল ও সুশিল মন্ডল বলেন, ৩শত টাকা নিয়ে চাল নিতে এসে ৪শত টাকা না দিলে চাল দেওয়া হবে না।তাই বাজার থেকে টাকা ধার করে নিয়ে চাল নিতে হয়েছে। ডিলার আনন্দ কর্মকার বলেন,ইউনিয়ান পরিষদের নির্দেশে ১শত টাকা চকিদারি ট্যাক্স ৩শত টাকা নিয়ে চাউল দিচ্ছি।আলাদা করে কোন রিসির্ভ দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে বলে পরে কার্ডের সাথে রিসির্ভ দেওয়া হবে। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু অসীম মৃধা বলেন,এক সাথে ৪হাজার মানুষের চাল দেওয়া হচ্ছে সেই সাথে ট্যাক্সের টাকা টা নিয়ে নিচ্ছে কার্ডের সাথে রিসির্ভ দেওয়া হবে।
দায়িত্ব থাকা ট্যাগ অফিসার মিনা হাবিবুর রহমান জানান,হত দরিদ্রদের চাল দেওয়ার সাথে ট্যাক্স নেওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। ৩০ কেজি চাউল ৩শত টাকায় নিবে।আর আপনি লিখিত অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আক্তার হোসেন বলেন, দূরত্ব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।