টিপ পরায় শিক্ষিকা হেনস্তায় অভিযুক্ত সেই পুলিশ বরখাস্ত
নিউজ ডেস্কঃ
টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তার অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেককে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঐ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে খবরটি যেভাবে আসছে তাতে পুলিশের তদন্ত নিয়ে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে ও গাফিলতির অভিযোগ না ওঠে সে জন্য ঐ অভিযুক্ত কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে জোরালো তদন্ত ও অভিযুক্ত শনাক্ত করেছে। পুলিশ তদন্তে আন্তরিক, গাফিলতির সুযোগ নেই, এটা এরই মধ্যে প্রমাণিত। তবে যিনি ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন তাকে প্রমাণ করতে হবে। আমাদের ইনকোয়ারি কমিটি হয়েছে।
তিনি জানান, পুলিশ প্রটেকশন বিভাগের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এবং তেজগাঁও বিভাগের একজন সহকারী কমিশনারকে (এসি) এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি। পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এ ঘটনার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে চিহ্নিত করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমরা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। একটি ঘটনা ঘটেছে এবং তিনি তা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় যে জিডি হয়েছে, যথাযথভাবে তার তদন্ত চলছে।