চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতে জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
শহর প্রতিনিধিঃ
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আইনজীবী পরিচয়
দানকারী শিউলী কর্তৃক চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং
সামাজিকভাবে হেয় করতে জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ
সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত আহাদ উল্লাহ সরদারের
পুত্র হাজী অঅব্দুল আজিজ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি এ সময় বলেন, বাবুলিয়া গ্রামের মৃত. ইন্তাজ আলীর পুত্র
মোহাম্মাদ আলী সরদারের সাথে আমার জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
মোহাম্মাদ আলী সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। আমি আমাদের পরিবারের সকলের বড়।
আমাদের একই শরিকের সম্পত্তিতে একটি গভীর মৎস্য ঘের রয়েছে। ঘেরটি
সম্মিলিতভাবে আমরা সবাই পরিচালনা করে আসছিলাম। মোহাম্মাদ আলী ওই ঘেরটি
পরিচালনা করতে গিয়ে আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন। বিষয়টি নিয়ে
পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করলে সেখানে মোহাম্মাদ আলী কাউকে সম্মান
না দেওয়া এবং বড়দের গায়ে হাত তুলতে যাওয়া ও গালিগালাজ করার কারনে বিষয়টির
সমাধানের লক্ষ্যে আমরা সাতক্ষীরা সহকারী পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) এর কাছে লিখিত
অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু সেখানে কোন সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে মোহাম্মাদ
আলী সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল আদালতে নিজের ভাই শওকত আলী ও চাচাতো ভাই
আব্দুল জব্বার এবং আবুল কাশেমের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিজ্ঞ বিচারক
মিমাংসার শর্ত দেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মিমাংসার শর্তে
রাজি থাকলেও মোহাম্মাদ আলীর কন্যা আইনজীবী পরিচয়দানকারী শিউলী সুলতানার কু
পরামর্শে মোহাম্মাদ আলী পরে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। অথচ ধার্য্য
দিনে আদালতে হাজির হয়ে উল্টো আমরা মিমাংসা করিনি মর্মে দাবি করলে বিজ্ঞ
আদালত মোহাম্মাদ আলীর আপন ভাই শওকত আলী, চাচাতো ভাই আব্দুর জব্বার ও আবুল
কাশেমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞ আদালতের প্রতিশ্রদ্ধা রেখে
আদালতের সীদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। অথচ কুটকৌশলী শিউল সুলতানা
গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করা হয়েছে মর্মে একটি
কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখানে শিউলি
উল্লেখ করেছেন তিনি নাকি একজন আইনজীবী। এছাড়া ডায়েরিতে যাদের নামে
উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্যে ১নং সাঈদুজ্জামান একজন চাকুরীজীবি। ঘটনার সময়
তিনি চাকুরির সুবাদে শ্যামনগরের বংশীপুরের নিজ অফিস স্টেশনে ছিলেন। এছাড়া
ওয়াজেদ আলী গোপালগঞ্জে ছেলের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ছিলেন এবং কামরুল ও চঞ্চল ব্যক্তিগত
কাজে বাইরে ছিলেন। তাহলে কিভাবে ওই শিউলিকে হুমকি দেওয়া হল। ঘটনাটি
ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ও কুচক্রী শিউলী সুলতানা জঘন্য মিথ্যাচার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমিসহ আমার ভাইপোরা চাকুরিজীবী। আমাদের সামাজিক
সম্মান রয়েছে। ওই কুচক্রী শিউলী সুলতানা আমাদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন
করতে এবং চাকুরির ক্ষতি করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে
শিউলি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে থানায় ডায়েরি করেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে
মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে চাকুরিজীবী ভাইপোসহ আমাদের হয়রানি করে যাচ্ছেন। উক্ত
গভীর মৎস্য ঘের নিয়ে মিমাংসায় আমরা সকল সময় প্রস্তুত থাকলেও অর্থ আত্মসাতকারী
মোহাম্মাদ আলী তার কুটকৌশলী কন্যা শিউলি সুলতানার পরামর্শে মিমাংসা না করে হয়রানি করে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় উক্ত শিউলী ও তার পিতার
চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু
হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।