মেয়েদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কলেজছাত্রকে ক্যাম্পাসে কুপিয়ে হত্যা
নিউজ ডেস্কঃ
কিশোর গ্যাংয়ের হাতে কলেজছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহান খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা সৈয়দ আবু তাহের।
আবু তাহের তার অভিযোগে জানান, গত ৩/৪দিন পূর্বে পায়গ্রামকসবা এলাকার একটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শান্ত-হাসনাত-তাছিন গ্রুপ মেয়েদের ছবি উঠানো ও উত্ত্যক্ত করলে আমার ছেলে রোহান বাধা দেয়। এ ঘটনায় ঐ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রোহানের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত বৃহস্পতিবার রোহান ক্লাস করতে কলেজে আসে। কলেজের দ্বিতীয় গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের পরপরই ফোনে খবর পেয়ে পূর্ব-পরিকল্পিত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
অপরদিকে কলেজের পরিবেশ কমিটির সদস্যরা বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়ে অধ্যক্ষকে অবহিত করেন। তবে অধ্যক্ষ যথাসময়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ঐ গ্যাংয়ের সদস্যরা নির্বিঘ্নে রোহানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাজপুর গ্রামের দিকে চলে যায়।
এদিকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে সৈয়দ আলিফ রোহান হত্যার ঘটনায় তার পিতা সৈয়দ আবু তাহের বাদী হয়ে ৫ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ শুক্রবার বিকেলে ফুলতলার দামোদর নিজ বাড়ি এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি দীপ্ত সাহাকে গ্রেফতার করেছে। সে ফুলতলা বাজারের গুড় ও চিনি ব্যবসায়ী দীপক সাহার পুত্র।
নিহত কলেজছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহানের ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বাদ এশা পায়গ্রাম কসবা মীরপাড়া মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ফুলতলা থানার ওসি মো. ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ফুলতলার শান্ত-হাসনাত-তাছিন গ্রুপের সদস্যরা একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় কলেজছাত্র খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই গ্রুপের সদস্য দীপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত গ্রেফতারকৃত দীপ্ত সাহাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার অগ্রগতি হতে পারে।