৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘুসের টাকা ফেরত দেন ওসি বশির
অনলাইন ডেস্ক :
বরগুনার বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তিনি মিথ্যা অভিযোগ এনে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুস নিয়ে পরে ৯৯৯-এ কল করায় ঘুসের টাকা ফেরত দিয়েছেন। তিনি ভুয়া অভিযোগ এনে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে পুনরায় ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। মঙ্গলবার সকালে বরগুনা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিকের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার বরাবর বামনার ওসি বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি লিখিত অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগীর বোন শাহানা বেগম।
এরপর ব্যাবসায়ী রাসেল মল্লিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানান। পরে ওসি বশিরুল আলম ঘুস নেওয়া ২০ হাজার টাকা আবার রাসেলকে ফেরত দিয়ে পরিবারের সবাইকে শাসিয়ে যান এবং বলেন-তোদের কপাল পুড়ছে। দেখে নেব। তিন দিন আগে ভুক্তভোগী রাসেল ও তার পরিবারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি অসাধু চক্রকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করছেন এবং মামলার ভয় দেখিয়ে আবারও ১ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার এসব মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন রাসেলের বোন।
ব্যবসায়ী রাসেলের বোন সাহানা বেগম বলেন, তিন দিন আগে আমার স্বামী, ভাই ও স্বজনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ওসি বশিরুল আলম একটি কুচক্রী মহল দ্বারা একটি মিথ্যা/ভিওিহীন অভিযোগ নিয়েছেন। সে অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে আমাদের কাছে ওসি আবার ১ লাখ টাকা ঘুস দাবি করছেন। আমরা এসব থেকে মুক্তি চাই।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রাসেল মল্লিক বলেন, কিছুদিন আগে বামনার ওসি বশিরুল আলম স্যার আমার দোকান থেকে কিছু বৈদ্যুতিক তার কিনে নেন। বিকালে তিনি আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে বলেন-তুই দুই নম্বর তার বিক্রি কর। তোকে এখন কোর্টে চালান দেব। এসব বলে আমাকে থাপ্পড় মারে। পরে আমার স্বজনরা থানায় এলে তাদের কাছে ৪০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করেন। টাকা না দিলে আমাকে কোর্টে চালান দেবেন। একপর্যায়ে ২০ হাজার টাকা ওসিকে দিয়ে আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পরে আমি ৯৯৯-এ ফোন দিলে ওসি আমাকে টাকা ফেরত দিয়ে অনেক ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যান এবং বলেন-এ মজা বুজামু আনে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল আলম বলেন, বিষয়টি মিথ্যা, এ রকম কিছুই হয়নি। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ আমার বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, এ ব্যাপারে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) বিষয়টি তদন্ত করছেন। তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পেলে ওসি বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।